
আরও পড়ুন- ধর্ষণ, যৌন নির্যাতনের মামলায় দ্রুত ফয়সলা করতে দেশে হাজারের বেশি ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট
ইরানের কুদস বাহিনীর প্রধান জেনারেল সোলেমানির মার্কিন ড্রোন হামলায় মৃত্যুর পরই আন্দোলিত হয়ে উঠেছে তামাম উপসাগরীয় অঞ্চল। বাগদাদে হত্যা করা হয়েছিল সোলেমানিকে। এই অবস্থায় গোড়া থেকেই চাপে ছিল ইরাক। কিন্তু তার পর মুসলিম দেশগুলিতে এতোটাই ক্ষোভ উগরে উঠেছে যে শেষমেষ কদিন আগে ইরাকের সংসদেও প্রস্তাব পাশ করিয়ে বলা হয়েছিল যে তাদের দেশের মাটি থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করতে হবে।
যদিও তখনও প্রশ্ন উঠেছিল যে সংসদ প্রস্তাব পাশ করলেই হবে না। ইরাকের প্রধানমন্ত্রী আদেল আবদুল মেহেদি ওই প্রস্তাবে সই না করা পর্যন্ত নিশ্চিন্ত থাকতে পারে আমেরিকা। কিন্তু ঘটনা হল, মেহেদির নিজের গদিই নড়বড়ে। সংসদের গরিষ্ঠ সংখ্যক সদস্যের মতের কাছে নতি স্বীকার করা ছাড়া তাঁরও উপায় ছিল না।
ইরাকের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে শুক্রবার বলা হয় যে, মার্কিন বিদেশ সচিব মাইক পম্পিও প্রধানমন্ত্রী মেহেদির সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার রাতে তাঁদের দু’জনের মধ্যে ফোনে কথা হয়েছে। তখনই সেনা প্রত্যাহারের কথা পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন ইরাকি প্রধানমন্ত্রী।
ইরাকি বিদেশ মন্ত্রকের তরফে আরও বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী মেহেদির বক্তব্য পরিষ্কার। ইরাকের সার্বভৌমত্বে আঘাত হেনেছে মার্কিন সেনাবাহিনী। তাদের দেশের মাটিতে থেকে ইরানের বাহিনীর উপর আঘাত করেছে তারা। এই নিয়মভঙ্গের পর তাদের দেশে আর মার্কিন বাহিনীকে রাখতে দেওয়া যায় না।
আরও পড়ুন- নৌসেনার ‘ড্রাম মেজর’, ১৬ বছর ধরে প্রজাতন্ত্র দিবসে নেভি ব্যান্ডকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন
ইতিমধ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একবার ইঙ্গিত দিয়েছেন যে সহজে সেনা প্রত্যাহার তিনি করবেন না। বরং এও বলেছেন তিনি যে তা করতে হলে ইরাককে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
তবে পর্যবেক্ষকদের মতে, ট্রাম্প যাই বলুন না কেন কোনও সার্বভৌম রাষ্ট্র না চাইলে আমেরিকা গায়ের জোরে সেখানে তাদের সেনা বসিয়ে রাখতে পারবে না। সেরকম করলে ঘরে বাইরে চাপের মুখে পড়তে পারে ট্রাম্প প্রশাসন।