Latest News

কর্মীদের পাকাপাকি ওয়ার্ক ফ্রম হোমের অনুমতি দিতে পারে টুইটার  

ফের কবে অফিস খোলা যাবে তা নিয়ে চিন্তায় রয়েছে গুগল ও ফেসবুকও। তাদের তরফে জানানো হয়েছে, এই বছর কম সংখ্যক কর্মীকে নিয়েই অফিস করতে হবে তাদের। বাকিরা বাড়ি থেকেই কাজ করবেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে চাইছে তারা।   

দ্য ওয়াল ব্যুরো: বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস ও লকডাউনের ফলে বন্ধ অফিস। আইটি সেক্টর থেকে শুরু করে প্রায় সব বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চলছে ওয়ার্ক ফ্রম হোম। সেই তালিকায় রয়েছে টুইটারও। তবে লকডাউনের পরেও কর্মীদের ওয়ার্ক ফ্রম হোমের অনুমতি দিতে পারে বলে জানিয়েছে টুইটার। এমনকি চাইলে কর্মীরা পাকাপাকি বাড়িতে বসেই কাজ করতে পারেন বলে জানিয়েছে টুইটার কর্তৃপক্ষ।

মঙ্গলবার টুইটারের তরফে জানানো হয়েছে, বর্তমানে পরিস্থিতিতে মনে হচ্ছে সেপ্টেম্বর মাসের আগে অফিস খোলা মুশকিল। তবে তার পরেও কর্মীদের পাকাপাকি বাড়ি থেকে কাজ করার অনুমতি দেওয়া হতে পারে। সান ফ্রান্সিসকোর এই কোম্পানি জানিয়েছে, করোনা সংক্রমণ শুরু হওয়ার পরে অফিস বন্ধ করার সিদ্ধান্ত যে প্রথম কয়েকটি বড় কোম্পানি নিয়েছিল তার মধ্যে ছিল টুইটার।

কোম্পানির মুখপাত্র জানিয়েছেন, “আমরা সংক্রমণের পরিস্থিতিতে সবার আগে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে এই সময় অফিসে বেশি কর্মী এলে সংক্রমণ ছড়াতে পারে। তাই কর্মীদের বাড়ি থেকে কাজ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। কারণ, এখনকার টেকনোলজিতে উন্নত দুনিয়ায় যে কোনও জায়গায় বসে আপনি অফিসের কাজ করতে পারেন।”

আরও পড়ুন আহমেদাবাদের কবরস্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে ব্যবহৃত পিপিই কিট, কুকুর টেনে আনছে লোকালয়ে

ওই মুখপাত্র আরও বলেন, “গত কয়েক মাসে আমাদের কর্মীরা প্রমাণ করে দিয়েছেন, এটা ভালভাবে করা সম্ভব। তাই যদি আমাদের কর্মীদের পাকাপাকি বাড়িতে বসে কাজ করতে কোনও সমস্যা না হয়, তাহলে সেই অনুমতি আমরা দিতে পারি। তাই কবে অফিস খোলা হবে সেটা কোম্পানি ঠিক করবে। কিন্তু কর্মীরা কবে অফিসে আসবেন সেটা তাঁরা ঠিক করবেন। আসল ব্যাপারটা হল কাজ ঠিকমতো হচ্ছে কিনা। সেটাই আমাদের প্রধান আলোচনার বিষয়।”

তবে শুধু টুইটার নয়, ফের কবে অফিস খোলা যাবে তা নিয়ে চিন্তায় রয়েছে গুগল ও ফেসবুকও। তাদের তরফে জানানো হয়েছে, এই বছর কম সংখ্যক কর্মীকে নিয়েই অফিস করতে হবে তাদের। বাকিরা বাড়ি থেকেই কাজ করবেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে চাইছে তারা।

You might also like