
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ইউনিভার্সিটিতে এক সঙ্গেই পড়ে দু’জনে। ক্লাসমেট। বন্ধুও। সেই বন্ধুত্ব থেকেই কখন যেন শুরু হয়ে গিয়েছিল প্রেম। ১৪ ফেব্রুয়ারী ভ্যালেন্টাইনস ডে সেলিব্রেশনের প্ল্যানও ছকে ফেলেছিল দুজনেই।
কিন্তু তার আগেই মাথায় হাত দু’জনের। ভ্যালেন্টাইনস ডে তে মেয়েটাকে ছেলেটা গিফট দেবে নিশ্চয়। কিন্তু উপহার প্রেমিক হিসেবে নয়, দেবে ভাই হিসেবে।
আরও পড়ুন ইন্টার্ন : কেউ বলছেন ভালোই তো, কেউ বলছেন গিমিক
কারণ?
ইউনিভার্সিটির ভিসি ফতোয়া দিয়েছেন, ভ্যালেন্টাইনস ডে’র বদলে পালন করতে হবে সিস্টারস ডে। আর সেই জন্য স্কার্ফ বা জামাকাপড় দিতে হবে সহপাঠী মহিলাদের। অবশ্যই ভাই হিসেবে।
মোটেও রসিকতা নয়। এমনটা সত্যিই হচ্ছে পাকিস্তানের রান্ধাওয়া কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য জাফর ইকবাল রান্ধাওয়া জানাচ্ছেন, ইসলামের ঐতিহ্য অনুসারেই তাঁর এই সিদ্ধান্ত। তাঁর বক্তব্য, পাকিস্তানের সংস্কৃতি এবং ইসলামের সঙ্গে সঙ্গতি রাখতেই নেওয়া হয়েছে এমন সিদ্ধান্ত।
এর আগেও পাকিস্তানে বহুবার বিতর্ক হয়েছে ভ্যালেন্টাইনস ডে পালনের জন্য। মৌলবাদীরা বলেছে ভ্যালেন্টাইনস ডে আসলে পশ্চিমী অপসংস্কৃতি। পাকিস্তানের সংস্কৃতির ওপর আক্রমণ।
উপাচার্য জাফর ইকবাল অবশ্য একে মোটেও ফতোয়া হিসেবে দেখতে রাজি নন। তাঁর বক্তব্য এটা শুধুই পরামর্শ। তাঁর বক্তব্য একদম ম্যানেজমেন্ট কনসালটান্টের মতো। ভ্যালেন্টাইনস ডে-এর ‘থ্রেট’কেই তিনি পরিণত করতে চান সুযোগ হিসেবে।
জাফর জানাচ্ছেন, ‘ভাই বোনের থেকে গভীর কোনও ভালোবাসার সম্পর্ক হতেই পারে না। আর সিস্টারস ডে তে, এই ভালোবাসা গভীরতায় স্বামী-স্ত্রী বা প্রেমিক-প্রেমিকার সম্পর্ককেও ছাপিয়ে যায়।’
জাফরের এই মন্তব্য নিয়ে ছাত্রছাত্রীদের কী বক্তব্য তা অবশ্য জানা যায়নি।
এর আগে ২০১৭ এবং ২০১৮ সালে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট পাকিস্তানে ভ্যালেনটাইনস ডে উদযাপনে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। তার আগে ২০১৬ সালে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট মামনুন হুসেনও পাকিস্তানিদের ভ্যালেন্টাইনস ডে পালন করতে বারণ করেছিলেন।