
দ্য ওয়াল ব্যুরো: সম্প্রতি রাষ্ট্রসঙ্ঘের এক প্রতিবেদনে জানা গেছে, বিশ্বের এক-তৃতীয়াংশ শিশু স্কুলবঞ্চিত। গত ১৯ সেপ্টেম্বর, রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ পরিষদের ৭৩তম অধিবেশনে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়েছে। ইউনিসেফ এই প্রতিবেদনটি প্রকাশ্যে আনে।
‘আ ফিউচার স্টোলেন: ইয়ং অ্যান্ড আউট-অব-স্কুল’ শীর্ষক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, সারা বিশ্বের প্রায় ৩০ কোটি শিশু ( ৫ থেকে ১৭ বছর বয়সী) স্কুলে যায় না। এই ৩০ কোটি শিশুর মধ্যে এক-তৃতীয়াংশ যুদ্ধবিগ্রহে অশান্ত বা প্রাকৃতিক দুর্যোগপ্রবণ অঞ্চলে বসবাস করে। এবং প্রতি পাঁচ শিশুর দু’জন কখনওই প্রাথমিক শিক্ষার গন্ডী পেরোতে পারে না।
ইউনিসেফের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর হেনরিয়েটা ফোরের জানান, যখন একটি দেশে অশান্তি শুরু হয় বা দেশটি প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিপর্যস্ত হয়, তখন দেশটির শিশুরা দুই ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। প্রথমেই তাদের স্কুলবাড়ি ধ্বংস বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আবার কখনও স্কুলবাড়ি সামরিক বাহিনীর দখলে চলে যায়। এ ভাবেই ৩০ কোটি শিশু স্কুলের বাইরে চলে যায়। এই সব শিশুদের বেশিরভাগই আর স্কুলে ফিরতে পারে না। দীর্ঘ মেয়াদে এই শিশুরা বিভিন্ন দুষ্টচক্রের হাতে পড়ে যায়। অথবা নানা অসামাজিক কাজে লিপ্ত হয়ে পড়ে।
ইউনিসেফের প্রতিবেদনটিতে এই সমস্যার সমাধানের পথও বলে দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, বিশ্বব্যাপী শিক্ষার পেছনে তহবিল বাড়ানো প্রয়োজন। প্রাক্-প্রাথমিক থেকে উচ্চমাধ্যমিক পর্যায় পর্যন্ত উচ্চমানের শিক্ষা সুনিশ্চিত করতে হবে এবং এ ক্ষেত্রে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। ইউনিসেফের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর হেনরিয়েটা ফোর বলেছেন, ‘‘এই সমস্যা আমাদেরকে একটি সংকটজনক মুহুর্তে এনে ফেলেছে। আমরা যদি অতি দ্রুত ও সুচিন্তিত পদক্ষেপ নিতে পারি, তবে শান্তিপূর্ণ ও সমৃদ্ধশালী সমাজ গড়ে তুলতে পারব।’’