
দ্য ওয়াল ব্যুরো: মঙ্গলবার দুপুরে হঠাত্ই রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেলের (AG) পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন কিশোর দত্ত। রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় তাঁর ইস্তফা গ্রহণ করেছেন। তারপর বিকেলেই তিনি জানিয়ে দিলেন পরবর্তী এজির নাম। রাজ্যের পরবর্তী অ্যাডভোকেট জেনারেল হচ্ছেন গোপাল মুখোপাধ্যায় (Gopal Mukherjee)।
In terms of Article 165 (1) of the Constitution of India Governor West Bengal Shri Jagdeep Dhankhar has appointed Shri Gopal Mukherjee, Senior Advocate of High Court at Calcutta, as Advocate General of the State and will hold office “during the pleasure of the Governor.”
— Governor West Bengal Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1) September 14, 2021
আইনজীবী মহলে সবচেয়ে বেশি যে নামটি নিয়ে জল্পনা চলছিল তিনি হলেন এই গোপাল মুখোপাধ্যায়। সারা হাইকোর্ট যাঁকে গোপালবাবু নামেই চেনে।
মহিলাদের মহিষ, ষাঁড়ের সঙ্গে একাসনে বসিয়ে যোগীর দাবি, সবাই নিরাপদ উত্তরপ্রদেশে!
কেন গোপালবাবুর নাম নিয়ে এত জল্পনা?
ভোট পরবর্তী হিংসা, নারদ মামলা, নন্দীগ্রামের গণনা মামলা- এই সবেতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে আদালতে সওয়াল জবাব করেছেন তিনি। অনেকের ধারণা তাঁকেই পরবর্তী এজি করবেন মুখ্যমন্ত্রী। অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি রাজ্যের হয়ে সওয়াল জবাব করেন। গোপালবাবু দাঁড়ান মুখ্যমন্ত্রীর হয়ে।
সাড়ে চার বছর দায়িত্ব সামলানোর পর এদিন অ্যাডভোকেট জেনারেল পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন কিশোর দত্ত। তৃণমূলের জমানায় এই নিয়ে চারজন অ্যাডভোকেট জেনারেল পদ ছাড়লেন। গত ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে জয়ন্ত মিত্রর পর দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন কিশোর দত্ত। আইনজীবী অনিন্দ্য মিত্র, আইনজীবী বিমল চট্টোপাধ্যায়– প্রথম দুজন এই সরকারের জমানায় প্রথম এজির দায়িত্ব সামলান।
প্রসঙ্গত তৃতীয় তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পরে রাজ্যের জিপি জয়তোষ মজুমদার, অতিরিক্ত অ্যাডভোকেট জেনারেল অভ্রোতোষ মজুমদারও পদ ছাড়েন।
তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর বর্ষীয়ান আইনজীবী অনিন্দ্য মিত্র ছিলেন অ্যাডভোকেট জেনারেল। তাঁর পর সেই দায়িত্ব পান আইনজীবী বিমল চট্টোপাধ্যায়। ২০১৩ সালে রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে কমিশন- রাজ্য বিরোধ সামাল দিয়েছিলেন তিনি। যদিও সেই মামলায় রাজ্যেরই হার হয়েছিল। এর পর দায়িত্বে আসেন বিশিষ্ট আইনজীবী জয়ন্ত মিত্র। কিশোর দত্ত অ্যাডভোকেট জেনারেল থাকাকালীন নারদ, সারদা থেকে শুরু করে সর্বশেষ নন্দীগ্রাম নির্বাচন সংক্রান্ত মামলায় রাজ্য সরকারের হয়ে আদালতে সওয়াল করেন। মঙ্গলবার সকাল থেকেই বিভিন্ন মামলায় তাঁকে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়।কিন্ত বেলা গড়াতেই হঠাৎ পদত্যাগের সিদ্ধান্তে হতচকিত হয়ে যায় হাই কোর্টের আইনজীবী মহল।