
হু জানিয়েছে, গুরুতর অসুখ হয়েছে বা কোভিডে শারীরিক অবস্থা সঙ্কটজনক, এমন রোগীদের জন্য আর্থ্রাইটিসের ওষুধ বারিসিটিনিব উপযোগী। এই ওষুধের ব্র্যান্ড নাম ওলুমিয়ান্ট। বাতের ব্যথার চিকিৎসার জন্য ২০১৮ সালে এই ওষুধে অনুমোদন দেয় মার্কিন ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন। হু জানাচ্ছে, সঙ্কটাপন্ন করোনা রোগীদের ট্রিটমেন্টে কাজে আসতে পারে এই ওষুধ।
আরও একটি ওষুধে ছাড়পত্র দিয়েছে হু যার নাম সোট্রোভিমাব। এটি একধরনের মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি যা শ্বাসযন্ত্রের জটিল রোগের চিকিৎসায় কাজে লাগে। সার্স-কভ-২ ভাইরাসের সংক্রমণে সিভিয়ার রেসপিরেটরি সিনড্রোম হতে দেখা যাচ্ছে রোগীদের। সোট্রোভিমাব শ্বাসের সমস্যা ও ফুসফুসের জটিল রোগ সারাতে পারবে বলে দাবি গবেষকদের। এই ওষুধও তাড়াতাড়ি বাজারে চলে আসবে বলে জানিয়েছে হু।
করোনার আরও দুটি ওষুধ ভাল কাজ দিয়েছে বলে দাবি হু-র। একটি মলনুপিরাভির, অন্যটি ফাইজারের তৈরি প্যাক্সলভিড। দুটি ওষুধেরই সেফটি ট্রায়ালের রেজাল্ট খুবই ভাল। প্যাক্সলভিড করোনা রোগীদের হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সম্ভাবনা ৮৯ শতাংশ কমিয়েছে। মনলুপিরাভির যাদের খাওয়ানো হয়েছিল তাদেরও জটিল রোগ হতে দেখা যায়নি। ২৮ দিন ধরে ওরাল পিলের ডোজ করিয়ে দেখা গেছে কোনও করোনা রোগী গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েননি বা কারও মৃত্যু হয়নি। অ্যাডভার্স সাইট এফেক্টস বা গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ারও কোনও খবর নেই। ব্রিটেনের ড্রাগ রেগুলেটর করোনার চিকিৎসায় মলনুপিরাভিরে অনুমোদন দিয়েছে। আমেরিকাও এই ওষুধে ছাড়পত্র দিয়েছে।