
দ্য ওয়াল ব্যুরো: কথায় বলে, সরকার চালালে যতটা দায়িত্বশীল হতে হয় শাসকদলকে, বিরোধী হলে ততটা না হলেও চলে। শাসকদল যতটা দায়িত্ববোধ দেখায়, বিরোধীরা সেই তুলনায় বেপরোয়া হয়। নিয়মকানুনের তোয়াক্কা করে না।
কিন্তু সিপিএম যেন পুরো উল্টোপথের পথিক!
কোভিডের তৃতীয় ঢেউ উত্তাল আকার নিয়েছে দেশে। বাংলা, কেরল সর্বত্র ঊর্ধ্বমুখী করোনা গ্রাফ। এই পরিস্থিতিতে কেরলের শাসকদল সিপিএম যখন উৎসবের মেজাজে দলের সম্মেলন প্রক্রিয়া চালাচ্ছে তখন ঠিক তার উল্টোপথে হেঁটে বাংলায় রাজ্য ও একাধিক গুরুত্বপূর্ণ জেলার সম্মেলন পিছিয়ে দিল ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সবাদী) পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটি।
কেরলের রাজধানী তিরুঅনন্তপুরম জেলা সম্মেলন নিয়ে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়েছে। যেখানে কেরলের বাম সরকার নির্দেশিকা জারি করে বলেছে, বাইরে কোনও রাজনৈতিক, সামাজিক, ধর্মীয় কর্মসূচিতে ১৫০ জনের বেশি জড়ো হওয়া যাবে না, সেখানে কেরলের এই জেলা সম্মেলনে সিপিএম ৫০০ মহিলাকে নিয়ে সম্মেলনের উদ্বোধনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করেছে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন পলিটব্যুরোর সদস্য এমএ বেবি, রাজ্যের মন্ত্রী ভি শিবানকুট্টি সহ তিরুঅনন্তপুরম সিপিএমের শীর্ষ নেতৃত্ব।
আরও একটি বিষয় নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে কেরল সিপিএমে। সম্প্রতি ইদুক্কি জেলার ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের এসএফআই নেতা ধীরাজ রাজেন্দ্রন খুন হয়েছেন। সিপিএমের অভিযোগ, কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাঁকে খুন করেছে। তাঁর বাড়ি কান্নুরে। ঘটনা হল, ধীরাজের দেহ যখন ইদুক্কি থেকে কান্নুরের পথে যাচ্ছে তখন তিরুঅনন্তপুরমে নাচা-গানা চলছিল সম্মেলন উপলক্ষ্যে। যাকে কটাক্ষ করে কেরল কংগ্রেসের সভাপতি কে সুধাকরণ বলেছেন, উৎসব করে ধীরাজকে বিদায় জানিয়েছে সিপিএম।
কেরলে যখন এই উৎসবের মেজাজ তখন বাংলায় রাজ্য সম্মেলন পিছিয়ে দিল সিপিএম। কথা ছিল ১৯-২১ ফেব্রুয়ারি হবে রাজ্য সম্মেলন। এখন আলিমুদ্দিন ঠিক করেছে ২৯-৩১ মার্চ কলকাতার প্রমোদ দাশগুপ্ত ভবনে ওই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। কারণ কোভিড বিধির জন্য দুই চব্বিশ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, হাওড়া, কলকাতার সম্মেলন বাকি। ফেব্রুয়ারি, মার্চে এই জেলাগুলিরর সম্মেলন হবে। মালদহ জেলার সম্মেলন হবে ১৯-২০ জানুয়ারি। সিপিএমের পার্টি কংগ্রেসও এবার কেরলে হবে। ৬-১০ এপ্রিল কান্নুরে পার্টি কংগ্রেস হওয়ার কথা।