
ব্রিটেনে কর্মরত ভারতীয় চিকিৎসক তথা রাজনীতিক বলেছেন, “অনেক ব্যায়াম, ডায়েট করেও আমার ওজন কমছিল না। করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর এক সপ্তাহে সাত কেজি ওজন কমেছে। তাই করোনাকে ধন্যবাদ।”
নীরজ পাতিল। কর্ণাটকের বাসিন্দা হলেও দীর্ঘদিন রয়েছেন ব্রিটেনে। সেখানকার লেবার পার্টির নেতৃত্বেও রয়েছেন তিনি। আপাতত করোনা থেকে সেরে উঠছেন এই চিকিৎসক। হাসপাতাল থেকে ফিরেছেন বাড়িতে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে তিনি জানিয়েছেন আইসোলেশন ওয়ার্ডের ভয়াবহ অবস্থার কথা।
লন্ডনের জর্জ হাসপাতালের চিকিৎসক নীরজ। তিনি বলেছেন, “আইসোলেশন ওয়ার্ডে থাকাটা আমার কাছে দুর্বিষহ হয়ে উঠেছিল। চোখের সামনে মৃত্যু আর যন্ত্রণা দেখতে দেখতে মনে হত আত্মহত্যা করে ফেলি।” নিজেই নিজেকে হাসপাতাল থেকে ডিসচার্জ করেন। বাড়িতে একেবারে আলাদা জায়গায় আইসোলেশন ওয়ার্ড করে থাকতে শুরু করেন। তিনি জানিয়েছেন, “হাসপাতালের আইসোলেশনে থাকার সময় মনে হচ্ছিল আমায় যেন কেউ ওয়াশিং মেশিনে ঢুকিয়ে দিয়েছে। শারীরিক কষ্টের থেকেও মানসিক যন্ত্রণাই হয়ে উঠেছিল বেশি।”
চিকিৎসা করার পাশাপশি রাজনীতিও পুরোদমে করেন নীরজ পাতিল। লেবার পার্টির প্রতিনিধি হিসেবে লন্ডনের ল্যামবেথের মেয়র হিসেবে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। গতবছর ব্রিটেনের পার্লামেন্ট নির্বাচনে মাত্র ১৫০০ ভোটে পরাজিত হয়েছিলেন এই ভারতীয় চিকিৎসক। জানিয়েছেন, সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে ফের চিকিৎসার কাজে যোগ দেবেন। তবে তা হতে আরও বেশ কয়েক সপ্তাহ সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন নীরজ।