Latest News

মুখের সঙ্গে হাতও চলে অনুব্রতর, জানতেন কি?

দ্য ওয়াল ব্যুরো: ‘কথা শিল্পী’ তিনি। মুখ খুললেই ঝরে পড়ে ‘মণি-মুক্ত’। তাঁর নানান তত্ত্ব মুখে মুখে ঘোরে শাসক দলের কর্মীদের। সেই তৃণমূলের বীরভূম জেলার সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের দাপটের কথা তাঁর জেলা তো বটেই, জানে গোটা বাংলা। কিন্তু তিনি যে এমন রাজনৈতিক নিবন্ধ লিখতে পারেন তা কে জানত!

‘সেন্টুর কার্টুন’ নামের একটি পত্রিকায় কলম ধরলেন কেষ্ট। ‘শুধুই জোড়া ফুল ফুটবে’ শীর্ষক নিবন্ধে অনুব্রত, মোদী সরকারের নীতির তীব্র সমালোচনা করেছেন ছত্রে ছত্রে। একটি জায়গায় তিনি লিখেছেন, ‘বলেছিল আচ্ছেদিন আসবেই, কিন্তু এসেছে কুচকুচে কালো দিন।’ রাজনীতিতে কালো দিন কথাটা পরিচিত শব্দ। কিন্তু তার আগে ‘কুচকুচে’ শব্দটি বসিয়ে দিয়েই লেখক হিসেবে অনেকের নজর কেড়ে নিয়েছেন অনুব্রত।

প্রবন্ধে কেষ্টবাবু আরও লিখেছেন, “…বাড়ির দরজা খুলেই দেখবেন উন্নয়ন দাঁড়িয়ে আছে আপনার দোরগোড়ায়, আপনাকে বলবে হ্যালো, আমার নাম উন্নয়ন।”

এমনিতে দিদির অত্যন্ত স্নেহভাজন তিনি। তাঁর সাংগঠনিক দক্ষতাতেও যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুগ্ধ, সে কথা গোপন রাখেন না। ২০১৩-র পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে যখন অনুব্রত পুলিশের গাড়িতে বোমা মারার কথা বলেছিলেন, সেই সময় জোর বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। প্রতিক্রিয়া দিয়েছিলেন তৎকালীন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার মীরা পাণ্ডেও। কিন্তু তার পরই বীরভূমের একটি সভায় গিয়ে দিদি বলেছিলেন, “অত হইচই করার কিছু নেই। আপনারা অনেকে জানেন না, ওঁর মাথায় অক্সিজেন কম যায়।” তবে ওই কথা যে অনুব্রত উত্তেজনার বসে মুখ ফস্কে বলেছিলেন, তা পরে একাধিক সাক্ষাৎকারে স্বীকার করেছেন। কিন্তু তাঁর গুড়-বাতাসা বা চড়াম-চড়াম বাংলার রাজনীতিতে জনপ্রিয় তত্ত্ব। তাঁর নতুন আবিষ্কারের তালিকায় রয়েছে ‘পাচন দাওয়াই।’ কিন্তু এই প্রতিভার কথা জানতেন না শাসক দলের অনেক নেতাই। বোধহয় দিদিও না!

You might also like