
বরকত ছিলেন সালারের ভূমিপুত্র। তাঁর নামাঙ্কিত স্মৃতিরক্ষা কমিটির উদ্যোগেই এদিনের অনুষ্ঠান হয়। শুভেন্দুর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন মুর্শিদাবাদ কেন্দ্রের সাংসদ আবু তাহেরও।
১৯৪৭ সালে দেশভাগের সময়ে তদানিন্তন পূর্ব পাকিস্তানের মধ্যে পড়ে যান ৪ কোটি ৪০ লক্ষ বাংলাভাষী মানুষ। পাকিস্তানের সরকার, প্রসাশন, সামরিক বাহিনীতে পশ্চিম প্রান্তের আধিপত্য দেখা যায়। করাচিতে জাতীয় শিক্ষা সম্মেলনে শুধুমাত্র উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা এবং স্কুল ও সংবাদমাধ্যমে ব্যবহার করার প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়। সঙ্গে সঙ্গে পূর্ব প্রান্তে প্রতিবাদে গর্জে ওঠেন সাধারণ মানুষ। ঢাকায় ছাত্ররা তমদ্দুন মজলিসের প্রতিষ্ঠাতা আবুল কাসেমের নেতৃত্বে মিছিল বের করে। বাংলাকে পাকিস্তানের একটি সরকারি ভাষা এবং পূর্ব বাংলার শিক্ষার মাধ্যম করার দাবি তোলেন তাঁরা।
১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি সকালে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর নির্দেশ অগ্রাহ্য করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে জড়ো হয় হাজারো ছাত্র। ব্যাপক লাঠিচার্জের পর হাজার হাজার ছাত্রের বিক্ষোভ আরও অগ্নিগর্ভ হয়। গণপরিষদ ঘেরাও করে ফেলে ছাত্ররা। সেখানেই নির্বিচারে গুলি চালায় পুলিশ। মৃত্যু হয় সালাম, রফিক, বরকত, জব্বর-সহ অসংখ্য ছাত্রের।