
আসানসোলের তৃণমূল প্রার্থী মুনমুন সেন তা নিয়ে বিতর্ক করলেন না। বরং দ্য ওয়াল-কে দেওয়া তাঁর এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে জানালেন, প্রধানমন্ত্রী পদে তিনি সব সময়েই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখতে চান। তবে সেখানেও থামেননি শ্রীমতি দেববর্মা।
পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “মমতাকে সব সময়ই চাই। কিংবা এমন কেউ যিনি বুদ্ধিমান, দেশের জন্য সব সময় চিন্তা করেন। চন্দ্রশেখরও ভাল।”
কিন্তু কোন চন্দ্রশেখরের কথা বলছেন মুনমুন?
নব্বইয়ের দশকের গোড়ায় খুব কম সময়ের জন্য দেশের প্রধানমন্ত্রী পদে ছিলেন চন্দ্রশেখর। জনতা দল ভেঙে তিনি তখন তস্য ছোট পার্টি সমাজবাদী জনতা দলের নেতা। তবে আদ্যন্ত পোড় খাওয়া রাজনীতিক ছিলেন তিনি। মুনমুন ‘চন্দ্রশেখরও ভাল’ বলতে অবধারিত ভাবেই তাঁর কথা বোঝাতে চাননি। সুতরাং সেক্ষেত্রে পড়ে থাকেন একজনই,- তেলঙ্গনার মুখ্যমন্ত্রী তথা তেলঙ্গনা রাষ্ট্রীয় সমিতির নেতা কলভাকুন্তলা চন্দ্রশেখর রাও। রাজনীতিতে যিনি কেসিআর বলেও পরিচিত। সম্প্রতি তেলঙ্গনায় বিধানসভা ভোটে ফের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে দ্বিতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন তিনি।
তবে মুনমুনের এই মন্তব্য নিয়ে টিপ্পনি কাটতে ছাড়ছেন না বিরোধীরা। বিজেপি-র এক মুখপাত্র বলেন, বেছে বেছে ভাল লোকই বের করেছেন মুনমুন। অন্যদিকে ঘরোয়া আলোচনায় তৃণমূলের অনেকে বলছেন, রাজনীতি নিয়ে মুনমুনের ধারনা সীমিত। উনি হয়তো দেখেছেন, চন্দ্রশেখরের সঙ্গে মমতার সম্পর্ক ভাল। নবান্নে আসা যাওয়া রয়েছে। দিল্লিতেও গত এক বছরে বেশ কয়েকবার চন্দ্রশেখর-মমতার বৈঠক হয়েছে। তাই ওঁর নাম করেছেন।