
আমি স্তম্ভিত, বাজেট শেষে বললেন মমতা
দেখুন কী ভাবে কেন্দ্রীয় সরকার আমাদের দেশের গর্বের এবং ঐতিহ্যের প্রতিষ্ঠানগুলিকে কৌশলে আক্রমণ করছে।
দ্য ওয়াল ব্যুরো: সংসদে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন বাজেট বক্তৃতা শেষ করার ঘণ্টা খানেক পরেই প্রতিক্রিয়া দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। টুইট করে লিখলেন, “আমি স্তম্ভিত।”
এদিন মমতা তাঁর টুইটে জনগণের উদ্দেশে আবেদন জানিয়ে লেখেন, “দেখুন কী ভাবে কেন্দ্রীয় সরকার আমাদের দেশের গর্বের এবং ঐতিহ্যের প্রতিষ্ঠানগুলিকে কৌশলে আক্রমণ করছে।” সেই সঙ্গে তিনি প্রশ্ন তোলেন, তাহলে কি একটা যুগের অবসান হতে চলেছে? টুটের নীচেই হ্যাশট্যাগ দিয়ে ভারতীয় রেল, এলআইসি, এয়ার ইন্ডিয়ার মতো প্রতিষ্ঠানের নাম লিখেছেন তৃণমূল নেত্রী।
I am shocked & appalled to see how the Central Government plans to ambush the heritage & legacy of public institutions.
It’s the end of a sense of security.
Is it also the end of an era?#LIC #IndianRailways #AirIndia #BSNL
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) February 1, 2020
এদিন বাজেট বক্তৃতায় নির্মলা প্রস্তাব দিয়েছেন, এলআইসির যে শেয়ার সরকারের হাতে আছে, তা বাজারে বিক্রি করে দেওয়া হবে। একই সঙ্গে পিপিপি মডেলে ১৪০টি প্যাসেঞ্জার ট্রেন চালানোর কথাও ঘোষণা করেছেন অর্থমন্ত্রী। অনেকের মতে, মমতা সেটাকেই আক্রমণ করতে চেয়েছেন।
এমনিতে এয়ার ইন্ডিয়া, বিএসএনএলের মতো সংস্থা নিয়ে মমতার অভিযোগ দীর্ঘদিনের। প্রায় সব জনসভাতেই নিয়ম করে বলেন, নরেন্দ্র মোদীর সরকার এই সব প্রতিষ্ঠানগুলির সর্বনাশ করে দিচ্ছে। তাঁকে এও বলতে শোনা গিয়েছে, বিমানবন্দরে নাকি তাঁর কাছে এসে এয়ার ইন্ডিয়ার কর্মীরা বলেছেন, “দিদি আমাদের বাঁচান।”
এদিন বাজেট বক্তৃতায় নির্মলা বলেন, অর্থবছরে রাজকোষ ঘাটতির পরিমাণ ছিল জিডিপির ৩.৮ শতাংশ। আগামী অর্থবছরে এই ঘাটতির পরিমাণ কমানোর লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে সরকার। সেই অর্থ সংগ্রহের জন্য কেন্দ্রীয় বিমা সংস্থা এলআইসি-র শেয়ার বেসরকারি সংস্থার হাতে বিক্রি করে দেবে। অর্থাৎ, এলআইসির মালিকানা এখন আর পুরোপুরি সরকারের হাতে থাকবে না। তা আংশিকভাবে হলেও বেসরকারি হাতে চলে যাবে।
ইতিমধ্যেই এলআইসি কর্মচারী ইউনিয়নের পক্ষ থেকে এই ঘোষণার তীব্র বিরোধিতা করা হয়েছে। সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যতম নেতা দেবদুলাল দাস বলেন, “সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। বিমা ক্ষেত্রকে কোনও ভাবেই বেসরকারি হাতে বেচে দেওয়া চলবে না।” বাংলাতেও বহু মানুষ আছেন যাঁরা এলআইসির এজেন্টের কাজ করেন। তাঁদের পরিবার ধরলে সংখ্যাটা নেহাত কম নয়। পর্যবেক্ষকদের মতে, সেই অংশের মানুষের ক্ষোভকেও এর মধ্যে দিয়ে উস্কে দিতে চেয়েছেন তৃণমূলনেত্রী।