
শুক্রবার শহরের তাপমাত্রা ছিল ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যদিও রিয়েল ফিল ছিল প্রায় ৪২ ডিগ্রির কাছাকাছি। রোদের তেজ আর ভ্যাপসা গরমে নাজেহাল দক্ষিণবঙ্গবাসী। চড়চড় করে পারদ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ। ফলে চরম আর্দ্রতার কারণে ঘেমেনেয়ে একসা হচ্ছেন দক্ষিণবঙ্গের বাসিন্দারা। আজ শহরে আর্দ্রতার পরিমাণ ৬৫ শতাংশ। এর আগেও জুলাই মাসে কম বৃষ্টি হয়েছে দক্ষিণবঙ্গে। কিন্তু গত ১০ বছরের মধ্যে এটাই উষ্ণতম জুলাই বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
আগামী কয়েকদিনেও অবস্থার পরিবর্তন হবে না বলেই জানিয়েছে হাওয়া অফিস। বরং তাপমাত্রা থাকবে ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের পাশাপাশি। যা স্বাভাবিকের তুলনায় অনেকটাই বেশি। পাল্লা দিয়ে বাড়বে আর্দ্রতার পরিমাণও। ছিটেফোঁটা ছাড়া মুষলধারে বৃষ্টির কোনও পূর্বাভাস নেই এখনই। আর এই ছিটেফোঁটা বৃষ্টির ফলে তাপমাত্রা মোটেই কমবে না। বরং অস্বস্তি আরও বাড়বে বলেই পূর্বাভাস আবহাওয়া দফতরের। ওড়িশা উপকূলে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে। তার ফলে নিম্নচাপও সৃষ্টি হবে। কিন্তু সুফল মিলবে কেবল ওড়িশাতেই। তেমন বৃষ্টি মোটেই পাবে না দক্ষিণবঙ্গ, জানিয়েছে আলিপুর।
উত্তরবঙ্গে প্রবল বৃষ্টি হলেও দক্ষিণবঙ্গে এখনও দেখা দেয়নি বর্ষা। জুলাই মাস শেষ হতে চললেও দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা কবে আসবে সে ব্যাপারেও নিশ্চিত ভাবে কিছুই জানায়নি আলিপুর হাওয়া অফিস। ফসলের ক্ষতির আশঙ্কায় চাষিদেরও মাথায় হাত পড়েছে জেলায় জেলায়। গরমে দাপটে নিত্যদিনের ভোগান্তির পাশাপাশি সবজির দাম বাড়বে বলেও আশঙ্কা।