
আসন্ন পুর নির্বাচন সামনে রেখে দলের নেতাদের এবার মাঠে নামার নির্দেশ দিতে বর্ধমান ভবনে সভা করেন পূর্ব বর্ধমানের তৃণমূল কংগ্রেসের পর্যবেক্ষক তথা রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
ফিরহাদের সভাতেই যুব তৃণমূল নেতা তথা জেলা পরিষদের সদস্য নুরুল হাসান জানান, তিনি তেরো বছর ধরে তৃণমূল কংগ্রেস করছেন। তারপরেই অভিযোগ করেন, দলে থেকে যারা ‘গুছিয়ে নিচ্ছে’ তাদের বিরুদ্ধে দল কোনও পদক্ষেপই করছে না। এমন কথা শুনে মঞ্চে থাকা স্বপন দেবনাথ দৃশ্যতই বিরক্ত হন। তিনি পাল্টা অভিযোগ করেন, দলের নাম করে নুরুল কী করেছেন সেকথা তিনি জানেন। এরপরেই তিনি নুরুলকে বলেন সভা ছেড়ে বেরিয়ে যেতে।
বর্ধমান-দুর্গাপুরের মতো নিশ্চিত আসনে লোকসভায় কেন দলের হার হল, কোন নেতা এজন্য দায়ী, বছর ঘুরলেও তা নিয়ে কেন দলীয় স্তরে কোনও পর্যালোচনা হল না এইসব প্রশ্ন তোলেন বৈঠকে উপস্থিত একাধিক নেতা। পূর্ব বর্ধমান জেলার তৃণমূলের এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পূর্ব বর্ধমান জেলার সব তৃণমূল বিধায়ক, সাংসদ, জেলা পরিষদের সব সদস্য ও বর্ধমান পুরসভার প্রাক্তন কাউন্সিলাররা। ছিলেন কালনা ও কাটোয়া পুরসভার বর্তমান তৃণমূল কাউন্সিলররাও।
ফিরহাদ হাকিম এদিন বলেন, “সিএএ এবং এনআরসি করে বিজেপি নিজের কবর নিজেই খুঁড়ছে। যারা সারা বছর পড়াশোনা করে পরীক্ষার সময় তাদের বাড়তি পড়তে হয় না। আমরা নির্বাচনে লড়তে প্রস্তুত। ভোট এলেই বিজেপি পুলওয়ামার মতো ঘটনা নিয়ে প্রচার শুরু করে।” পুরভোট কবে হবে, এই প্রশ্নের উত্তর তিনি দেননি, বলেছেন তা ঠিক করবে রাজ্য নির্বাচন কমিশন।
উন্নয়নের কাজে কী ভাবে দলীয় স্তরে বাধা আসে সে কথা এদিন ফিরহাদ হাকিমকে জানান দলের জন প্রতিনিধিরা। ‘কাটমানি’ শব্দটি মুখে না বললেও এদিন নতুন করে কাটমানি নিয়ে অভিযোগ করেন তৃণমূল নেতাদেরই একাংশ। ফিরহাদ হাকিমকে তাঁরা বলেন, উন্নয়নের টাকা নিয়ে নিচ্ছে দলের লোকজন।
সব অভিযোগ শোনার পরে ফিরহাদ হাকিম নির্দেশ দেন পুরভোটে যাতে দলের নেতারা কোন্দল ভুলে একসঙ্গে কাজ করেন।