
ফলে মিড ডে মিলের মেনু ঠিক করে ফেলেও পিছিয়ে এলেন অনেক জেলা শাসক। সোমবার বিকেলে তাঁরা জানিয়ে দিলেন, মুখ্যমন্ত্রী যখন বারণ করেছেন, তখন মিড ডে মিলে আর ডিম দেওয়া হবে না।
হুগলির বাণী মন্দির প্রাথমিক স্কুলের মিড ডে মিল নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছিল। দেখা গিয়েছিল, ওই স্কুলে মিড ডে মিলে ছাত্রছাত্রীদের স্রেফ নুন ভাত দেওয়া হচ্ছে। তার পর অতি উৎসাহী হয়ে হুগলি ও পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা শাসক নোটিশ জারি করে বলেছিলেন, তাঁদের জেলায় সব স্কুলের জন্য মিড ডে মিলের মেনু ঠিক করে দেওয়া হয়েছে। সপ্তাহে দু’দিন ডিম বা মাছ খাওয়ানোর কথা বলেছিলেন পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা শাসক পার্থ ঘোষ।
তবে হুগলির জেলা শাসক রত্নাকর রাও আরও বেশি নজর কেড়েছিলেন। তিনি জানিয়েছিলেন, সপ্তাহে দু’দিন ডিম দেওয়া হবে মিড ডে মিলে। এক দিন দেওয়া হবে মুরগির মাংস।
এ দিন মুখ্যমন্ত্রী কার্যত তাঁদের বিপাকেই ফেলেছেন। পূর্ব বর্ধমান জেলার প্রশাসনিক বৈঠকে গিয়ে বলেছেন, মিড ডে মিলের মেনু পাল্টে ফেলা হচ্ছে, তিনি নিজেই জানেন না। সংবাদমাধ্যমে নাকি মনগড়া কথা লেখা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা শাসক পার্থ ঘোষ এ দিন বিকেলে বলেন, “আমরা যে সপ্তাহে দু দিন ডিম ভাত দেওয়ার বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিলাম সেটা ছিল সরকারি সিদ্ধান্ত। ২০১৮ থেকে এই নিয়ম চলে আসছে। আজ মুখ্যমন্ত্রী কী বলেছেন আমি শুনিনি। সরকারি ভাবে যদি নতুন নির্দেশিকা জারি হয়, তবে তা মেনেই চলব”।
অন্যদিকে হুগলির জেলা শাসক রত্নাকর রাও বলেন, মিড ডে মিলের গাইডলাইনে বলা রয়েছে যে প্রাথমিক এবং উচ্চ প্রাথমিক স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার দিতে হবে। কত গ্রাম প্রোটিন খাবার দিতে হবে তাও বলা হয়েছে। ডিম যদি না খাওয়ানো যায় তা হলে সয়াবিনের তরকারি খাওয়াতে হবে। কারণ, সয়াবিনে প্রোটিন রয়েছে।