
এ দিন বিবৃতি দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এক মাসে নয়, গত তিনমাস সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। প্রসঙ্গত, জঙ্গলমহলে সাত শবরের মৃত্যু নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়ায় রাজ্য রাজনীতিতে। বিরোধী দলগুলি ভিড় করতে থাকে আদিবাসী অধ্যুষিত গ্রামগুলিতে। যদিও প্রথম দিন থেকেই পরিস্থিতি মোকাবিলায় তৎপর হয় জেলা প্রশাসন। জেলা শাসক আয়েষা রানি নিজে যান গ্রামগুলিতে। ব্যবস্থা করা হয় খাবারের। পুলিশ এবং আবগারি দফতর যৌথ উদ্যোগে লালগড় ব্লকের ২০টি গ্রামে বেআইনি মদের ভাটি ভাঙার অভিযানে নামে।
যেখানে সেখানে পান-গুটখার পিক, দিদি কিন্তু খুব রেগে গিয়েছেন!
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারে আসার পরই জঙ্গলমহলকে শান্ত করতে সমান্তরালভাবে দুটি কর্মসূচি নিয়েছিলেন। এক, পুলিশ দিয়ে মাওবাদীদের বিরুদ্ধে অভিযান এবং একই সঙ্গে জঙ্গলমহলের মানুষের জীবন-যাত্রার মানোন্নয়নে নানান সরকারি কর্মসূচি। কারণ, মমতা এটা ভালই জানতেন, জঙ্গলমহলের মানুষের অভাব, অনুন্নয়নকে পুঁজি করেই সেখানে নিজেদের সংগঠনের ভিত শক্ত করেছিল মাওবাদীরা।
তবে মুখ্যমন্ত্রীর বিবৃতির প্রতিবাদে বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট করেন বাম-কংগ্রেস বিধায়করা। বিরোধীদের দাবি, তাঁরা গতকাল অধ্যক্ষের কাছে সাত শবরের মৃত্যু নিয়ে আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে আলোচনার সময় জানানো হবে। কিন্তু তার বদলে এ দিন মুখ্যমন্ত্রী বিবৃতি দিয়ে দেন বলে অভিযোগ তাঁদের। আগামী ২২ নভেম্বর পর্যন্ত বিধানসভার অধিবেশন বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাম এবং কংগ্রেস বিধায়করা।