
দেশে অতি দ্রুত হারে করোনা সংক্রমণ বেড়ে চলেছে। পশ্চিমবঙ্গেও কোভিড পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর। এমন অবস্থায় কোনওভাবেই নির্বাচনী বিজয় মিছিল করা যাবে না, এমনই নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দল ও বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ।
আদালত সূত্রে বলা হয়েছে, কোভিড পরিস্থিতিতে এই নির্দেশ কড়া ভাবে মানতে হবে নির্বাচন কমিশন ও রাজনৈতিক দলগুলিকে। ভোট গণনা চলার সময় বা ফল ঘোষণার পরে কোনও অবস্থাতেই বিজয় মিছিল বা সমাবেশ করা যাবে না। রাজ্যের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কর্মী ও সমর্থকদের এই নির্দেশ মেনে চলতে হবে।
দেশে করোনা সংক্রমণ যখন বগ্লাহীনভাবে বেড়ে চলেছে তখন নির্বাচনী প্রচার, সভা নিয়ে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকার বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছে মাদ্রাজ হাইকোর্ট। দেশে সংক্রমণ বৃদ্ধির জন্য কমিশনের ভূমিকাকেই দায়ী করে কার্যত তুলোধনা করেছে মাদ্রাজ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিচারপতি সেন্থিলকুমার রামমূর্তির ডিভিশন বেঞ্চ। নির্বাচন কমিশনকে তীব্র ভর্ৎসনা করে কমিশনের অফিসারদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করার করাও কথাও বলেন বিচারপতিরা। এমনকি, বিধিনিষেধ মানা নিয়ে সঠিক পরিকল্পনা দেখাতে না পারলে ২ মে কমিশনের ভোটগণনা আটকে দেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেয় আদালত। মাদ্রাস হাইকোর্টের ভর্ৎসনার পরের দিনই নির্বাচন কমিশন জানায়, ২ মে ভোট গণনা চলাকালীন, তার আগে বা পরে কোনও বিজয় মিছিল করা যাবে না।
পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও বিধানসভা ভোট হয়েছে অসম, তামিলনাড়ু, কেরল ও পুদুচেরিতে। ভোটের ফলাফল ঘোষণা হবে আগামী ২মে। এর মধ্যেই নানা মহল থেকে দাবি উঠেছে, ফলাফল ঘোষণার পরে বিজয় মিছিল বা বহু মানুষের জমায়েত হলে সংক্রমণ আরও লাগামছাড়া হয়ে যাবে। বিজয় মিছিলে সামাজিক দূরত্ব মানা হবে না, কাজেই যে জায়গাগুলিতে সমাবেশ বা মিছিল হবে সেগুলি সংক্রমণের এপিসেন্টার হয়ে উঠবে। তার জন্যই নির্বাচন কমিশনের তরফেও স্পষ্ট জানানো হয়েছে, ভোট গণনা চলাকালীন যেই প্রার্থী এগিয়ে থাকছেন তাঁর সঙ্গে সর্বাধিক দু’জন থাকতে উপস্থিত থাকতে পারবেন।