Latest News

দিলীপ ঘোষ যেন মিঠুন চক্রবর্তী, যেখানে সেখানে লাশ ফেলে দেওয়ার হুমকি

দ্য ওয়াল ব্যুরো: চিত্রনাট্য লিখেছিলেন এন কে সলিল। অভিনয় করেছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী। সিনেমার নাম এমএলএ ফাটাকেষ্ট। মুখে মুখে ঘুরেছিল সেই ডায়লগ। কখনও মিঠুন বলছেন, “আমি যেখানে জন্মেছি, সেটা গুণ্ডাদের আঁতুর ঘর। দাইমা নাড়ি কেটে হাতে পেটো ধরিয়ে দিয়েছিল।” কখনও বলছেন, “আমি খবর দেখি না, খবর পড়ি না, খবর তৈরি করি।” কিন্তু সব ডায়লগকে ছাপিয়ে গিয়েছিল একটা ডায়লগই। ‘মারব এখানে, লাশ পড়বে শ্মশানে।’ সে তো সিনেমায়। সেখানে তো কত কিছুই হয়। এ বার বাস্তবে এন কে সলিল আর মিঠুন চক্রবর্তীর দ্বৈত ভূমিকায় অবতীর্ণ হলেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। দলের সভা মঞ্চ থেকে সরাসরি দিলেন ‘লাশ ফেলার’ হুমকি।

শুক্রবার সকালে অণ্ডালে সভা করতে গিয়েছিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। সেই সভা থেকেই নাম না করে তৃণমূলের উদ্দেশে দিলীপবাবু বলেন, “এমন দাওয়াই দেবেন কেন যে হাসপাতালে যেতে হবে। যদি দিতে হয় তাহলে হালকা-ফুল্কা নয়। একেবারে শেষ ঠিকানায় পাঠিয়ে দিতে হবে। মিঠুন চক্রবর্তীর একটা ডায়লগ ছিল নিশ্চই শুনেছেন। মারব এখানে লাশ পড়বে শ্মশানে। আমি বলছি মারব এখানে, লাশ পড়বে যেখানে সেখানে।’

আরও পড়ুন: পতির দুঃখে সতীর দুঃখ, টিকিট পাননি স্বামী, পুড়ে মরার চেষ্টা স্ত্রীয়ের

কয়েক সপ্তাহ আগেই দুর্গাপুরের কোক-ওভেন থানা এলাকায় বিজেপি-র সভা ঘিরে উত্তেজনা ছড়িয়েছিল। পুলিশের নিষেধাজ্ঞা উড়িয়ে, সিভিক ভলান্টিয়ারদের তাড়া করে ঘোষিত জায়গায় সভা করেছিল বিজেপি। সে দিনও তাঁর বক্তব্যে প্ররোচনা ঠাসা ছিল বলে অভিযোগ তুলেছিলেন অনেকে। এ দিন অণ্ডালের সভা থেকে ফের সেই অভিযোগ উস্কে দিলেন দিলীপ ঘোষ। এ বার সরাসরি লাশ ফেলে দেওয়ার হুঁশিয়ারি।

যদিও দিলীপ ঘোষের এই বক্তব্যকে বিশেষ আমল দিচ্ছে না শাসক দল। আসানসোলের মেয়র তথা তৃণমূল নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি বলেন, “ওদের কথায় খুব একটা গুরুত্ব দেওয়ার নেই। ওদের নেতাকে ষাঁড়ে তাড়া করছে। আগে ষাঁড় সামলাক। তারপর তৃণমূলকে সামলাবে।’

এ দিনের সভায় দিলীপবাবু ছিলেন একেবারে সেলুলয়েড মুডে। হিন্দি সিনেমার একটি ডায়লগ উদ্ধৃত করে বলেন, “এমন মারবেন যাতে বুঝতে পারে, এটা হাত নয়, হাতুড়ির বাড়ি পড়ছে!”

বুধবার বোলপুরের সভা থেকে তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে উদ্দেশ করে কুকুরের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন দিলীপ ঘোষ। বলেছিলেন, “কুকুর নিজের এলাকায় নিজেকে সিংহ মনে করে। বাইরে গেলে সব শেষ।” পাল্টা অনুব্রতও জানিয়ে দিয়েছিলেন, দিদি বললেই তিনি সিংহ হয়ে যাবেন। সেই সঙ্গে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন পাচনের বাড়ির জন্য তৈরি হতে। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পাচনের পাল্টা হাতুড়ির বাড়ির কথা বলে দিলেন দিলীপবাবু।

The Wall-এর ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন 

 

You might also like