
দ্য ওয়াল ব্যুরো: এতদিনে রহস্যের জাল নিজেই ছিড়ে দিলেন প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢড়া। সনিয়া তনায় স্বীকার করে নিলেন, প্রশান্ত কিশোরের কংগ্রেসে যোগ দেওয়া নিয়ে কথা হয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত তা কোনও পরিণতি পায়নি।
প্রশান্ত কিশোর যে কংগ্রেসের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন তা নিয়ে সর্বভারতীয় জল্পনা ছিল। তিনি যে কংগ্রেসে যোগ দিতে পারেন এমন আলোচনাও ছিল ক্ষমতার অলিন্দে। কিন্তু তা কংগ্রেসের কোনও নেতা বা প্রশান্ত কিশোর নিজে এর আগে খোলাখুলি জানাননি।
অবশেষে শুক্রবার একটি চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রিয়ঙ্কা স্বীকার করেছেন, পিকের সঙ্গে সত্যিই আলোচনা হয়েছিল। কিন্তু কেন শেষমেশ প্রশান্ত কিশোর কংগ্রেসে যোগ দিলেন না? প্রিয়ঙ্কার কথায়, আমি এ ব্যাপারে বিস্তারিত বলতে চাই না। তবে হ্যাঁ ওনার দিক থেকে কিছু কারণ ছিল, কিছু কারণ আমাদের দিক থেকে ছিল। সার্বিক ভাবে কিছু বিষয়ে দুই পক্ষের সম্মতি হয়নি, তাই আর এগোনো যায়নি।
প্রিয়ঙ্কা এও স্বীকার করেছেন যে একটা সময়ে এমন পরিস্থিতি হয়েছিল যে পিকের কংগ্রেসে সামিল হওয়ার বিষয়টি অনেকটা এগিয়েও গিয়েছিল। তার পরই ব্যাপারটা থমকে যায়।
The IDEA and SPACE that #Congress represents is vital for a strong opposition. But Congress’ leadership is not the DIVINE RIGHT of an individual especially, when the party has lost more than 90% elections in last 10 years.
Let opposition leadership be decided Democratically.
— Prashant Kishor (@PrashantKishor) December 2, 2021
প্রিয়ঙ্কাকে জিজ্ঞাসা করা হয়, বাইরে থেকে একজনকে এভাবে কংগ্রেসে সামিল করা নিয়ে কি দলের মধ্যে আপত্তি ছিল? কারণ, এটা বোধগম্য যে প্রশান্ত কিশোর কংগ্রেসে যোগ দিলে তাঁর ভূমিকা ও মর্যাদা আর পাঁচ জনের মতো থাকবে না। কংগ্রেসের সামগ্রিক নীতি নির্ধারণে তাঁর প্রভাবশালী ভূমিকা থাকতে পারে। জবাবে প্রিয়ঙ্কা জানিয়েছেন, না সে রকম কোনও আপত্তি ছিল না। তা হলে এত কথাই হত না।
কংগ্রেস সূত্রের খবর, সনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী ও প্রিয়ঙ্কা—তিন জনের সঙ্গেই দফায় দফায় বৈঠক হয়েছিল প্রশান্ত কিশোরের। দলের অনেকের মতে, হতে পারে যে প্রশান্ত গান্ধী পরিবারের বাইরের কাউকে কংগ্রেস সভাপতি করার কথা বলেছিলেন। সেই কারণেই বিষয়টি ভেস্তে যায়। আরও তাৎপর্যপূর্ণ হল, এর পর প্রশান্ত একটি টুইট করে পরোক্ষে রাহুল গান্ধীর সমালোচনা করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘কংগ্রেসের নেতৃত্ব কোনও এক ব্যক্তির স্বর্গীয় অধিকার নয়’। প্রশান্তের সেই টুইট দেখেই বোঝা গিয়েছিল যে আলোচনা ভেস্তে গিয়েছে।