
দ্য ওয়াল ব্যুরো: দিনকয়েক আগে দেশের প্রথম সারির শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পড়ুয়া, গবেষক, শিক্ষকরা সম্প্রতি হরিদ্বারের (haridwar) ধর্মসভায় (religious summit) উগ্র মুসলিম বিদ্বেষী (anti muslim hate speech) ঘৃণা ভাষণের পরও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (pm modi) ‘নীরবতা’র (slience) সমালোচনা করেছেন। হিন্দুত্ববাদী (hindutwa leader) নেতা যাতি নরসিংহানন্দের নেতৃত্বে পরিচালিত গত মাসের তিনদিনের সেই ধর্মসভায় ভারতে সংখ্যালঘু মুসলিমদের গণহত্যার (genocide) ডাক দেওয়া হয়েছিল। এবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী কেন চুপ করে আছেন, প্রশ্ন তুলে আন্তর্জাতিক মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান (imran khan)।
হরিদ্বারের সভার কথা আন্তর্জাতিক মহলকে মাথায় রাখার আবেদন জানিয়ে ইমরান ট্যুইট করেছেন, ডিসেম্বরে কট্টরপন্থী হিন্দুত্ববাদীদের সম্মেলনে ভারতের সংখ্যালঘুদের, বিশেষ করে বলতে গেলে ২০ কোটি মুসলিমকে খোলাখুলি গণহত্যার ডাক দেওয়ার পরও মোদী সরকার লাগাতার চুপ করে থাকায় প্রশ্ন উঠতে বাধ্য, বিজেপি সরকার কি তা সমর্থন করে!
Under the extremist ideology of the BJP Modi govt, all religious minorities in India have been targeted with impunity by Hindutva groups. The extremist agenda of the Modi govt is a real and present threat to peace in our region.
— Imran Khan (@ImranKhanPTI) January 10, 2022
ভারতে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠীগুলি অবাধে নিশানা করে চলেছে বলে অভিযোগ করে ইমরান আরও বলেন, মোদী সরকারের চরমপন্থী এজেন্ডা এখন আমাদের অঞ্চলের শান্তির সামনে সত্যিকারের বিপদ।
ইমরান যে ধর্মসভার উল্লেখ করে মোদীকে টার্গেট করেছেন, সেখানে একাধিক বিবৃতিতে সংখ্যালঘু নিধনের ডাক দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। যেমন হিন্দু মহাসভার সাধারণ সম্পাদক অন্নপূর্ণা মা বলেন, ওদের শেষ করে দিতে চাইলে মেরে ফেলো। আমাদের এজন্য ১০০ জওয়ান চাই যারা ২০ লাখ লোককে মারতে পারে।
ধর্মসভায় শঙ্করাচার্য পর্ষদের সভাপতি আনন্দ স্বরূপ মহারাজকে বলতে শোনা যায়, সরকার আমাদের দাবিতে কান না দিলে (সংখ্যালঘুদের ওপর হিংসার মাধ্যমে হিন্দু রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা) আমরা ১৮৫৭র মহাবিদ্রোহের চেয়েও বেশি ভয়াবহ লড়াই শুরু করব।