
দ্য ওয়াল ব্যুরো: করোনা সংক্রমণ প্রতিদিন বাড়ছে দেশে। দৈনিক আক্রান্ত ২ লাখের দোরগোড়ায় চলে এসেছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যাণ বলছে, দেশের ১৭টি রাজ্যে সংক্রমণের হার তথা পজিটিভিটি রেট মারাত্মক। সপ্তাহে ১০ শতাংশ হারে সংক্রমণের হার বেড়ে চলেছে। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা।
স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানাচ্ছে, দেশের ১২০টি জেলায় কোভিড পজিটিভ রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। সেকেন্ড ওয়েভের সময় ঠিক যেভাবে পজিটিভিটি রেট ঊর্ধ্বে চড়েছিল, তেমনই সংক্রমণের ঢেউ আছড়ে পড়েছে দেশে। থার্ড ওয়েভে ঘরে ঘরে ঢুকে পড়েছে সংক্রমণ। সর্দি-কাশি, জ্বর প্রায় প্রত্যেক পরিবারে। টেস্ট করালেই করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসছে। জটিল সংক্রমণ খুব কমই হচ্ছে, তবে মদু বা মাঝারি সংক্রমণ দেখা যাচ্ছে অনেকেরই। চিন্তার বিষয় হল উপসর্গহীন রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে দেশে। সংক্রমণের বাহ্যিক লক্ষণ না থাকায় উপসর্গহীন বা অ্যাসিম্পটোমেটিকদের সংস্পর্শ থেকে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে আরও অনেকের মধ্যে।
রাজধানী দিল্লিতে সোমবার ১৯ হাজারের বেশি নতুন করোনা আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে। সংক্রমণের হার ছিল ২৫ শতাংশ। যা গত ৫ মে-র পর সর্বোচ্চ। স্বাস্থ্য আধিকারিকরা বলছেন, ৬ জানুয়ারির পর থেকে সংক্রমণের হার আরও বেড়েছে। প্রতি সপ্তাহে পজিটিভিটি রেট বেড়ে চলেছে। মুম্বই, কলকাতা, চেন্নাইতেও সংক্রমণের হার বেশি।
এ দিকে, করোনার ওমিক্রনের রূপের সংক্রমণও পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। দেশে এই মুহূর্তে মোট ওমিক্রন আক্রান্ত চার হাজার ৪৬১ জন। ওমিক্রন থেকে সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ৭১১ জন। ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যাতেও শীর্ষে মহারাষ্ট্রই।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্য বলছে, মাত্র ৩০ শতাংশের মধ্যে দেখা যাচ্ছে সংক্রমণের লক্ষণ, বাকিরা অ্যাসিম্পটোমেটিক বা উপসর্গহীন। বিদেশ ফেরত যাত্রীদের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়লেও, স্থানীয়দের মধ্যেও ছড়াচ্ছে সংক্রমণ। সেক্ষেত্রে গোষ্ঠী সংক্রমণ হতে পারে কিনা সে নিয়েও চিন্তা করছেন বিশেষজ্ঞরা।