
কারা করাবেন কোভিড টেস্ট?
কোভিডের উপসর্গ থাকলে টেস্ট করাতেই হবে। জ্বর, সর্দি-কাশি, শুকনো কাশি, গা ব্যথা, শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি উপসর্গ থাকলে করোনা পরীক্ষা করাতেই হবে।
রিয়েল টাইম আরটি-পিসিআর বা ল্যাবরেটরিতে করানো যে কোনও কোভিড টেস্টের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে এমন ব্যক্তির সংস্পর্শে থাকলে টেস্ট করাতে হবে।
কোমর্বিডিটির রোগীর উপসর্গ থাকলে করোনা পরীক্ষা মাস্ট। সেক্ষেত্রে ডায়াবেটিস, হাইপারটেনশন, ক্রনিক ফুসফুস ও কিডনির রোগ, হার্টের রোগ, ক্যানসারের মতো মারণ রোগ থাকলে এবং করোনার উপসর্গ দেখা দিলে টেস্ট করাতে হবে।
আন্তর্জাতিক যাত্রীদের জন্য কোভিড টেস্ট বাধ্যতামূলক।
বিদেশ থেকে এ দেশের যে কোনও রাজ্যের বিমানবন্দর, সমুদ্র বন্দরে এলে করোনা পরীক্ষা করাতেই হবে।
কাদের এখনই কোভিড টেস্টের দরকার নেই
উপসর্গহীন বা অ্যাসিম্পটোমেটিক হলে করোনা পরীক্ষার দরকার নেই। বাড়িতেই আইসোলেশনে থাকতে হবে।
কোভিড আক্রান্তের সংস্পর্শে এলেও যদি হাই-রিস্ক গ্রুপে থাকেন, যেমন ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তি, কোমর্বিডিটির রোগী, তাহলে করোনা পরীক্ষা করাতে হবে, তা না হলে দরকার নেই।
অন্য রাজ্য থেকে যাতায়াতের ক্ষেত্রে কোভিড টেস্টের প্রয়োজন নেই।
সাত দিন হোম আইসোলেশনে থাকার পরে ফের করোনা পরীক্ষার দরকার নেই।
ডাক্তারের পরামর্শে বাড়িতেই রয়েছেন যাঁরা তাঁদের করোনা পরীক্ষার দরকার নেই।
কোভিডের সেকেন্ড ওয়েভের মতো তৃতীয় ঢেউতেও আক্রান্তের সংখ্যা ঝড়ের গতিতে বাড়ছে। ল্যাবরেটরি, হাসপাতাল-নার্সিংহোম, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলিতেও স্বাস্থ্যকর্মীরা করোনা পজিটিভ। স্বাস্থ্য পরিষেবাও বিপর্যস্ত। এমন পরিস্থিতিতে টেস্টিং সেন্টারগুলির ওপর পাহাড় প্রমাণ চাপ। তাই এই চাপ কমানোর জন্যই সকলের কোভিড টেস্টের দরকার নেই বলেই মনে করছেন স্বাস্থ্য আধিকারিকরা।
এখন করোনা হলেও উপসর্গ মৃদু। আইসোলেশনে থেকে ডাক্তারের পরামর্শে ওষুধ খেলে কমদিনে সেরেও যাচ্ছে। তাই একান্তই হাই-রিস্ক গ্রুপের রোগী বা বয়স্করা ছাড়া সকলের করোনা পরীক্ষার দরকার নেই বলেই মনে করা হচ্ছে।