
১ ফেব্রুয়ারি তিহাড় জেলে ফাঁসি হওয়ার কথা ছিল নির্ভয়া মামলায় দোষী সাব্যস্ত মুকেশ কুমার, পবন গুপ্তা, বিনয় শর্মা এবং অক্ষয় ঠাকুরের। কিন্তু ফাঁসির দিন ঘোষণার পর থেকেই শুরু হয়েছে টালবাহানা। বারবার পিছিয়ে যাচ্ছে সাজার দিন। নির্ভয়ার খুনিদের মৃত্যুদণ্ড যাতে অনির্দিষ্টকালের জন্য পিছিয়ে না যায়, সেজন্য দিল্লি হাইকোর্টে আবেদন করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। বুধবার ছিল তার শুনানি। এদিন বিচারপতি বলেন, খুনিরা আরও এক সপ্তাহ আইনি পথে ফাঁসি আটকানোর চেষ্টা করতে পারে। তারপরে তাদের মৃত্যুদণ্ডের দিন নিয়ে শুনানি শুরু হবে। এদিকে চার খুনিকে একসঙ্গে ফাঁসি দেওয়া হবে না আলাদাভাবে, তাই নিয়েও বিতর্ক চলছে অনেকদিন ধরে।
ফাঁসির দিন ঘোষণার পর থেকেই একের পর এক আপিল করে চলেছে চার দোষী। ২০১২ সালে দিল্লিতে প্যারামেডিক্যালের ছাত্রীকে গণধর্ষণ ও খুনে অভিযুক্ত চার অপরাধীর সাজা ঘোষণা হতেই লেগে গিয়েছে সাত বছর। তারপর এত টালবাহানায় ক্ষুব্ধ আমজনতা। বিরক্ত কেন্দ্রের কৌঁসুলীও। অপরাধীর জেনেবুঝে ইচ্ছে করেই সাজা পিছনোর জন্য বারবার আপিল করছে বলেই মত অনেকের। নিয়ম অনুযায়ী, কোনও অপরাধীর প্রাণভিক্ষার আর্জি খারিজ হলে তার পরে কমপক্ষে ১৪ দিন সময় দিতে হবে ফাঁসির সাজা কার্যকর করার ক্ষেত্রে। আর এক্ষেত্রে একজনের আপিল খারিজ হতে না হতেই রাষ্ট্রপতির কাছে ফের জমা পড়ছে আর এক দোষীর আপিল। ফলে ক্রমাগতই পিছিয়ে চলেছে ফাঁসির দিনক্ষণ। উল্লেখ্য যে এখনও রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আর্জি জানায়নি নির্ভয়া কাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত পবন গুপ্তা।