
সেটা কেন? গবেষকরা বলছেন, কোভিড টিকার দুটি ডোজ দুরকমভাবে ভাবে কাজ করে—টাইপ ১ ও টাইপ ২। প্রথমটা মৃদু ও মাঝারি সংক্রমণ থেকে সুরক্ষা দিতে পারে, দ্বিতীয়টা সংক্রমণজনিত জটিল রোগ থেকে বাঁচাতে পারে।
গবেষণা বলছে, করোনা টিকার প্রথম ডোজ নেওয়ার চার সপ্তাহ পরে দ্বিতীয় ডোজ নিলে সংক্রমণজনিত রোগের সম্ভাবনা ৬৫-৭০ শতাংশ কম হয়, আট সপ্তাহ পরে দ্বিতীয় ডোজ নিলে সংক্রমণজনিত জটিল রোগের ঝুঁকি কমে ৭৫ শতাংশ আর ১২ সপ্তাহ পরে দ্বিতীয় ডোজ নিলে জটিল রোগের শঙ্কা অন্তত ৮০ শতাংশ কমে যায়।
তবে করোনাভাইরাস শুরুতে যেমনটা ছিল এখন তার রূপ অনেকটাই পরিবর্তিত। বিশ্বজুড়েই ভাইরোলজিস্টরা বলছেন, সার্স-কভ-২ ভাইরাল স্ট্রেনে মিউটেশন বা জিনের গঠন বিন্যাস খুব দ্রুত বদলে যাচ্ছে। মানে মিউটেশন হচ্ছে পর পর, র্যাপিড। একবারে ২০০ বার জিনের গঠন বদলাতেও দেখেছেন বিজ্ঞানীরা। স্পাইক প্রোটিনে অ্যামাইনো অ্যাসিডের কোডও বদলে যাচ্ছে। তাই ভাইরাল স্ট্রেন দিনে দিনে আরও ছোঁয়াচে, অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠছে। ভ্যাকসিনে কাজ হবে ঠিকই, কিন্তু সারা বছর সংক্রামক ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হলে শরীরের ইমিউনিটি সেই পর্যায়ে নিয়ে যেতে হবে। এর জন্য দুটো ডোজের পরে তৃতীয় ডোজও নিতে হতে পারে। ভ্যাকসিনের তৃতীয় ডোজ হবে ‘বুস্টার’, অর্থাৎ শরীরের ইমিউন পাওয়ার বা রোগ প্রতিরোধ শক্তিকে কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেবে।