
পরমবীর আরও বলেছেন, মুম্বই পুলিশ পেশাদারিত্বের সঙ্গেই তদন্ত করেছিল। আর কুপার হাসপাতালের চিকিৎসকরাও তাঁদের দায়িত্ব সঠিক ভাবেই পালন করেছিলেন। উল্লেখ্য, মৃত্যুর পর কুপার হাসপাতালেই আনা হয়েছিল সুশান্তকে। সেখানেই তাঁর ময়নাতদন্ত হয়। রিপোর্টে বলা হয়েছিল গলায় ফাঁস লাগার ফলে দমবন্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে অভিনেতার। গতকাল কুপার হাসপাতালের মতামতকে সমর্থন করেছে এইমস। অর্থাৎ মুম্বই পুলিশের কথাই প্রমাণিত হয়েছে।
যদিও তদন্তের প্রাথমিক পর্যায়ে রাজপুত পরিবার মুম্বই পুলিশের বিরুদ্ধে তোপ দেগে বলেছিল তারা সঠিক ভাবে তদন্ত করছে না। এই নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয় এবং শেষ পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সুশান্তের মৃত্যুর তদন্তভার দেওয়া হয় সিবিআইকে। এই প্রসঙ্গে পরমবীর বলেছেন যে আদালতে তাদের তদন্তে কোনও খুঁত খুঁজে পায়নি। তিনি আরও বলেছেন যে “বন্ধ খামে করে সুপ্রিম কোর্টে তদন্তের রিপোর্ট জমা দিয়েছিল মুম্বই পুলিশ। তদন্তকারী আধিকারিক, উচ্চপদস্থ পুলিশ অফিসার, মুম্বই পুলিশের কমিশনার এবং ডেপুটি কমিশনার, রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল এবং বিচারপতি—–এই ৬ জন ছাড়া কেউ ওই রিপোর্ট পড়েননি। কিন্তু কিচ্ছু না জেনেই মুম্বই পুলিশকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে দিয়েছিল একদল লোক।”
গত ১৪ জুন বান্দ্রার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় সুশান্ত সিং রাজপুতের দেহ। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে প্রাথমিক ভাবে কুপার হাসপাতাল জানায় গলায় ফাঁস লাগার ফলে দমবন্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে অভিনেতার। পাশাপাশি মুম্বই পুলিশ এও বলে যে সুশান্ত আত্মহত্যা করেছেন। যদিও একথা মানতে রাজি ছিলেন অভিনেতার পরিবার। মুম্বই পুলিশের তদন্তকে একপেশে বলে দাবি করেন সুশান্তের বাবা এবং দিদিরা। দীর্ঘ টানাপড়েনের পর তদন্তভার যায় সিবিআইয়ের হাতে।
সিবিআইয়ের তরফে একাধিক বার খতিয়ে দেখা হয়েছে ক্রাইম সিন। ঘটনার পুনর্নির্মাণ করে সমস্ত সম্ভাবনা খুঁটিয়ে দেখেছেন সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা। কিন্তু তার পরেও অভিনেতা খুন হয়েছেন, এমন কোনও সম্ভাবনা তদন্তকারীদের নজরে আসেনি। বরং সুশান্তের বিষক্রিয়ায় মৃত্যু হয়েছে বা কেউ অভিনেতাকে শ্বাসরোধ করে খুন করেছে—-এই সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছে এইমসের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের দল। তারা নিজেদের রিপোর্টে স্পষ্ট ভাবে জানিয়েছেন যে, খুন হননি সুশান্ত সিং রাজপুত। বরং অভিনেতা আত্মহত্যাই করেছেন।