ভারতে এখনও গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হয়নি, জানাল স্বাস্থ্যমন্ত্রক
ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৬৭ হাজার পেরিয়ে গিয়েছে। মৃত্যুর সংখ্যাও ২২০৬। গত ২৪ ঘণ্টায় ৪২১৩ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন। এই আক্রান্তের সংখ্যা গত কয়েক দিনে দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়ায় ভারতে গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হয়েছে কিনা, সে বিষয়ে প্রশ্ন উঠছে মানুষের মনে।
সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের যুগ্মসচিব লব আগরওয়ালকে প্রশ্ন করা হয়, ভারতে গত কয়েক দিন আক্রান্তের সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে। বর্তমানে আক্রান্তের সংখ্যা ৬৭ হাজারের বেশি। তাহলে কি দেশে গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হয়েছে?
সেই প্রশ্নের জবাবে লব আগরওয়াল বলেন, “ভারতে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার একটা বড় কারণ টেস্টের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়া। টেস্ট বাড়লে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়বে এটা স্বাভাবিক। রবিবার ৫ লক্ষ ১ হাজার ৮০৪ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। শনিবার ৪ লক্ষ ১৫ হাজার ৯৮০ জনের টেস্ট হয়েছিল। রবিবার আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধির হার ছিল ৫.৪৯ শতাংশ। এক সপ্তাহ আগেও এই বৃদ্ধির হার ছিল ১০ শতাংশ। কিন্তু গোষ্ঠী সংক্রমণ হলে তো এই আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধির হার লাফিয়ে বাড়ত। অনেক দেশেই আমরা তা দেখেছি। তাই এখনও ভারতে গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হয়নি।”
আরও পড়ুন হটস্পট চিহ্নিত করতেই ‘আরোগ্য সেতু’ অ্যাপ, এবার চালু হচ্ছে জিও, ল্যান্ড ফোনেও
কোনও ভাবেই যাতে ভারতে গোষ্ঠী সংক্রমণ না হয়, তার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেই জানান লব আগরওয়াল। তিনি বলেন, “সরকার চেষ্টা করছে যাতে দেশে গোষ্ঠী সংক্রমণ না শুরু হয়। তার জন্য আমরা টেস্টের সংখ্যা বাড়িয়েছি। সেই সঙ্গে কন্টেইনমেন্ট জোন, রেড জোন চিহ্নিত করে কড়াকড়ি করা হয়েছে। মানুষকে সচেতন করার চেষ্টা হচ্ছে। তার ফলেই দেখা যাচ্ছে গত তিন সপ্তাহ ধরে প্রতিদিন সুস্থতার হার বেড়ে চলেছে। এই প্রক্রিয়া আরও ভালভাবে কার্যকর করা সম্ভব হলে আমরা গোষ্ঠী সংক্রমণ কিংবা সংক্রমণের পিক অর্থাৎ সর্বোচ্চ সীমায় হয়তো পৌঁছব না। সেই চেষ্টা করছি আমরা।”
সাধারণ মানুষকে সচেতনতা বাড়ানোর পরামর্শও এদিন দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রকের যুগ্মসচিব। তিনি বলেন, “আমাদের সবাইকে স্বাস্থ্য সচেতন মনোভাব গড়ে তুলতে হবে। উপসর্গ দেখা দিলে সেটা লুকোবেন না। হাসপাতালে আসুন। একটা কথা মাথায় রাখবেন, শুধু নিজেকে নয়, নিজের পরিবার ও অন্যদেরও বাঁচাতে হবে আমাদের। তাই সবসময় সচেতন থাকুন।”