Latest News

করোনাকে সঙ্গে নিয়েই বাঁচতে হবে আমাদের, মেনে চলতে হবে নিয়ম কানুন: স্বাস্থ্যমন্ত্রক

ভারতও করোনা সংক্রমণ দূর করার জন্য একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। ৪৫ দিন ধরে লকডাউন চলছে। কিন্তু এখনও সংক্রমণ বেড়েই চলেছে। যদিও পাশাপাশি সুস্থতার হারও বাড়ছে, যা আশাবাদী। কিন্তু লকডাউনের ফলে দেশের অর্থনীতি ও দেশের মানুষ অনেক সমস্যায় পড়েছেন।

দ্য ওয়াল ব্যুরো: ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৫৬ হাজার পেরিয়ে গিয়েছে। এখনও প্রায় ৩৮ হাজার মানুষ চিকিৎসাধীন। গত কয়েক দিনে এই সংখ্যাটা হু হু করে বেড়েছে। তার জেরে কমেছে কোভিড ১৯ ডাবলিং রেট। এই অবস্থায় কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানাল, করোনাকে সঙ্গে নিয়েই বাঁচতে হবে আমাদের। আর তাই বেশ কিছু নিয়ম কানুন মেনে চলতে হবে। এইসব নিয়মকে জীবনের অঙ্গ বানিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক।

শুক্রবার সাংবাদিক সম্মেলনে একথা বলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের যুগ্মসচিব লব আগরওয়াল। তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, ভারতে এখনও আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। অর্থাৎ গ্রাফ এখনও উপরের দিকে। তাহলে ১৭ মে-র পরে কী চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। তার জবাবে লব আগরওয়াল বলেন, “লকডাউনের মেয়াদ বাড়লেও অনেক ক্ষেত্রে আমরা ছাড় দিয়েছি। এখন যখন আমরা এইসব ছাড় দেওয়া কথা বলছি, অভিবাসী শ্রমিকদের বিভিন্ন রাজ্য থেকে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে, তখন একটা কথা মাথায় রাখতে হবে আমাদের। এই করোনাভাইরাসকে সঙ্গে নিয়েই বাঁচতে হবে আমাদের। তাই করোনাকে সঙ্গে নিয়ে কী ভাবে বাঁচা যায় সেই পদ্ধতি শিখতে হবে। এই ভাইরাসের সংক্রমণ রোখার জন্য যে নিয়ম কানুন রয়েছে, তা আমাদের জীবনের অঙ্গ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।”

খানিকটা একই রকমের কথা কয়েক দিন আগে বলেছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। কন্টেইনমেন্ট এলাকা বাদ দিয়ে রাজধানীর বাকি অংশে লকডাউন শিথিল করার ঘোষণা করার সময় কেজরি বলেন, “এই ভাইরাসকে সঙ্গে নিয়েই চলতে হবে আমাদের। এর বিরুদ্ধে লড়ার সাহস দেখাতে হবে।”

এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে বারবার সতর্ক থাকার কথা বলেছেন লব আগরওয়াল। তিনি বারবার বলেন, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকা, হাত ধোয়া, রাস্তায় থুতু না ফেলা, নোংরা না ছড়ানো এগুলোকে মেনে চলতে হবে আমাদের। সবার আগে মানুষকে সচেতন হতে হবে। যতদিন না মানুষ সচেতন হচ্ছেন, ততদিন এই ভাইরাসের সংক্রমণ থামানো কঠিন।

আরও পড়ুন কিছু রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ায় ভারতের কোভিড ১৯ ডাবলিং রেট কমেছে: কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক

পৃথিবীর অনেক দেশেই দেখা গিয়েছে, একবার করোনা সংক্রমণ থেমে যাওয়ার কিছুদিন পরে ফের শুরু হয়েছে সংক্রমণ। বিজ্ঞানীরা বলছেন, বারবার নিজের চরিত্র বদল করছে এই ভাইরাস। ফলে তার ভ্যাকসিন বানাতে অনেক সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে তাঁদের। সর্বোপরি এই ভাইরাসের উৎস কী তা নিয়েই এখনও সংশয় রয়েছে। অনেক বিজ্ঞানী তো এও বলেছেন, প্রতি বছর বা একটা নির্দিষ্ট সময় অন্তর করোনা সংক্রমণ ছড়াতে পারে বিভিন্ন দেশে।

ভারতও করোনা সংক্রমণ দূর করার জন্য একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। ৪৫ দিন ধরে লকডাউন চলছে। কিন্তু এখনও সংক্রমণ বেড়েই চলেছে। যদিও পাশাপাশি সুস্থতার হারও বাড়ছে, যা আশাবাদী। কিন্তু লকডাউনের ফলে দেশের অর্থনীতি ও দেশের মানুষ অনেক সমস্যায় পড়েছেন। জীবন ধারণের জন্য ধীরে ধীরে ব্যবসা-বাণিজ্য শুরু করতেই হবে। অন্যান্য কাজও শুরু হবে। কিন্তু তারমধ্যে এই সংক্রমণ খতম হবে কিনা তার নিশ্চয়তা নেই। তাই হয়তো আগে থেকেই দেশবাসীকে সতর্ক করলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রকের যুগ্মসচিব।

You might also like