Latest News

প্লাজমা থেরাপির অনুমতি পেল আইসিএমআর, ১০ রাজ্যের ২১ হাসপাতালে হবে ট্রায়াল  

এখনও পর্যন্ত হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন, রেমডেসিভির, ফেরিপিরাভিল প্রভৃতি ড্রাগ নিয়ে পরীক্ষা চালাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। লব আগরওয়াল এদিন বলেন, “আমরা এখনও পর্যন্ত একাধিক ড্রাগ নিয়ে পরীক্ষা চালাচ্ছি। অনেক পরীক্ষা অ্যাডভান্সড স্টেজেও রয়েছে। কোনও পরীক্ষার কার্যকরী ফল হলেই তা জানানো হবে।”

দ্য ওয়াল ব্যুরো: করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন এখনও পর্যন্ত আবিষ্কার করতে পারেনি কোনও দেশ। সব দেশ নিজের মতো করে পরীক্ষা চালাচ্ছে। ভারতেও একাধিক ড্রাগ নিয়ে চলছে পরীক্ষা। এরমধ্যেই প্লাজমা থেরাপির মাধ্যমে করোনা আক্রান্ত রোগীকে সারিয়ে তোলার চেষ্টাও চলছে। অবশেষে অনেক বড় স্তরে এই প্লাজমা থেরাপি শুরু করার অনুমতি পেল ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ বা আইসিএমআর। শিগগির তা শুরু হবে বলেই জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক।

শুক্রবার সাংবাদিক সম্মেলনে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের যুগ্মসচিব লব আগরওয়াল এই কথা জানান। তিনি বলেন, “প্লাজমা থেরাপির ট্রায়াল শুরু করার অনুমতি পেয়ে গিয়েছে আইসিএমআর। ১০ রাজ্যের ২১টি হাসপাতালে এই ট্রায়াল শুরু হবে। তারমধ্যে মহারাষ্ট্রের ৫টি হাসপাতাল, গুজরাতের ৪টি হাসপাতাল, রাজস্থান, তামিলনাড়ু, মধ্যপ্রদেশ ও উত্তরপ্রদেশের ২টি করে হাসপাতাল এবং পঞ্জাব, কর্নাটক, তেলেঙ্গানা ও ছত্তীসগড়ের ১টি করে হাসপাতালে এই প্লাজমা থেরাপির ট্রায়াল শুরু হবে।”

প্লাজমা থেরাপির মূল বিষয় হল, সুস্থ হয়ে ওঠা কোনও করোনা আক্রান্ত রোগীর শরীর থেকে প্লাজমা নিয়ে তা আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে প্রবেশ করানো। তার ফলে সুস্থ ব্যক্তির শরীরের প্লাজমা আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে গিয়ে কোভিড ১৯ ভাইরাসকে হারিয়ে সেই ব্যক্তিকে সুস্থ করে তুলতে পারেন বলে একটা সম্ভাবনা রয়েছে। যদিও এখনও পর্যন্ত তা প্রমাণিত হয়নি।

আরও পড়ুন ভারতে সুস্থতার হার প্রায় ৩০ শতাংশ, করোনা আক্রান্ত ৯১ শতাংশেরও জটিলতা নেই: কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক

এর মধ্যেই দিল্লি, গুজরাত ও কেরলে এই প্লাজমা থেরাপি করা হয়েছে। প্রতিটি রাজ্যের তরফেই জানানো হয়েছে, এখনও পর্যন্ত এই থেরাপির ফল আশাবাদী। তাই এবার আরও বড় স্তরে এই ট্রায়াল শুরু করতে চলেছে আইসিএমআর। প্রাথমিক পর্যায়ে আশঙ্কাজনক রোগীদের মধ্যেই ট্রায়াল করে দেখা হবে বলে জানা গিয়েছে।

সেইসঙ্গে আয়ুষ প্রকল্পের মাধ্যমেও ট্রায়াল শুরু করা হবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক। এই প্রকল্পের মাধ্যমে আয়ুর্বেদ চিকিৎসার সাহায্যে এই ভাইরাসের মোকাবিলা করা সম্ভব হবে কিনা তা পরীক্ষা করে দেখা হবে।

এখনও পর্যন্ত হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন, রেমডেসিভির, ফেরিপিরাভিল প্রভৃতি ড্রাগ নিয়ে পরীক্ষা চালাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। লব আগরওয়াল এদিন বলেন, “আমরা এখনও পর্যন্ত একাধিক ড্রাগ নিয়ে পরীক্ষা চালাচ্ছি। অনেক পরীক্ষা অ্যাডভান্সড স্টেজেও রয়েছে। কোনও পরীক্ষার কার্যকরী ফল হলেই তা জানানো হবে।”

You might also like