
১৬ দিনে করোনামুক্ত আরও ৩৩ জেলা, দেখুন স্বাস্থ্যমন্ত্রকের জেলাওয়াড়ি রিপোর্ট
এখনও ভারতের যে রাজ্যগুলিতে সংক্রমণের খবর বেশি পাওয়া যাচ্ছে, সেই রাজ্যের সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে কেন্দ্র। করোনা সংক্রমণ কমাতে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে সে ব্যাপারে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। অনেক রাজ্যে প্রতিনিধি দলকেও পাঠানো হচ্ছে তদারক করার জন্য। এভাবে ধীরে ধীরে সংক্রমণ কমানোর চেষ্টা করা হচ্ছে বলেই জানিয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক।
শুক্রবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের যুগ্মসচিব লব আগরওয়াল বলেন, “এখনও পর্যন্ত ভারতে ২১৬টি জেলায় সংক্রমণের কোনও ঘটনা ঘটেনি। বাকি জেলাগুলির মধ্যে ৪২টি জেলায় গত ২৮ দিন ধরে, ৩৯টি জেলায় গত ২১ দিন ধরে, ৩৬টি জেলায় গত ১৪ দিন ধরে ও ৪৬টি জেলায় গত ৭দিন ধরে নতুন কোনও সংক্রমণের খবর পাওয়া যায়নি।”
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের এই পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২১৬টি এবং নতুন করে ১৫৩টি জেলায় গত এক সপ্তাহ থেকে এক মাস পর্যন্ত সংক্রমণের খবর নেই। অর্থাৎ বর্তমানে ৩৬৯টি জেলা সংক্রমণ মুক্ত। ভারতে জেলার সংখ্যা ৭৩৬টি। তার মধ্যে ৩৬৯টি জেলায় সংক্রমণ নেই। অর্থাৎ সংক্রমণ রয়েছে ৩৯৭টি জেলায়।
১৬ দিন আগে অর্থাৎ গত ২২ এপ্রিল স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ৪৩০টি জেলায় সংক্রমণ ছিল। অর্থাৎ এই ১৬ দিনে আরও ৩৩টি জেলা করোনামুক্ত হয়েছে বলেই জানাল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। এই পরিসংখ্যান ইতিবাচক বলেই জানিয়েছে তারা।
আরও পড়ুন ভারতে সুস্থতার হার প্রায় ৩০ শতাংশ, করোনা আক্রান্ত ৯১ শতাংশেরও জটিলতা নেই: কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক
এর আগে গত ২ এপ্রিল স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছিল দেশের ২১১ জেলায় সংক্রমণ রয়েছে। ২০ দিন পরেই তা হয়ে যায় ৪৩০ জেলা। এই সংক্রমণ বৃদ্ধি চিন্তা বাড়িয়েছিল প্রশাসনের। তারপরেই ভারতের সব জেলাকে রেড, গ্রিন ও অরেঞ্জ জোনে ভাগ করে দেওয়া হয় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে। রেড জোনের মধ্যে আলাদা করে কন্টেইনমেন্ট জোনও চিহ্নিত করা হয়। কন্টেইনমেন্ট জোন ও রেড জোনে বাড়ানো হয় নজরদারি। কেউ লকডাউন অমান্য করলে নেওয়া হয় কড়া পদক্ষেপ। তার ফলেই এই সংক্রামিত জেলার সংখ্যা কমেছে বলেই মনে করা হচ্ছে।
এখনও ভারতের যে রাজ্যগুলিতে সংক্রমণের খবর বেশি পাওয়া যাচ্ছে, সেই রাজ্যের সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে কেন্দ্র। করোনা সংক্রমণ কমাতে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে সে ব্যাপারে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। অনেক রাজ্যে প্রতিনিধি দলকেও পাঠানো হচ্ছে তদারক করার জন্য। এভাবে ধীরে ধীরে সংক্রমণ কমানোর চেষ্টা করা হচ্ছে বলেই জানিয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক।