
এক মাস আগে উদুপির গভর্নমেন্ট গার্লস পিইউ কলেজে থেকে হিজাব ইস্যুতে প্রতিবাদ শুরু হয়। সেখানে ছ’জন ছাত্রীকে মাথার হিজাব পরে আসার জন্য ক্লাসে ঢুকতে দেননি কলেজ কর্তৃপক্ষ। সেখান থেকেই প্রতিবাদের আগুন অন্যান্য কলেজেও ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ে। উদুপি এবং চিক্কামাগালুরে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলি মুসলিম মেয়েদের হিজাব পরে কলেজে প্রবেশের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে থাকে। গেরুয়া উত্তরীয় পরে একদল পডুয়া কলেজে প্রবেশের চেষ্টা করেন। দুই পক্ষের ঝামেলা শুরু হয়ে যায়। বিতর্কের জল এতটাই গড়ায় যে মামলা দায়ের হয় হাইকোর্টে। এখন অন্যান্য় রাজ্যেও হিজাব ইস্যুতে বিতর্ক চলছে। ঝামেলার জেরে উদুপির গভর্নমেন্ট স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হয়। পড়ুয়াদের দাবি, অশান্তির জেরে ক্লাস হচ্ছে না। পড়াশোনা বন্ধ। এদিকে সামনেই পরীক্ষা। তাই দ্রুত স্কুল খুলে পড়াশোনা শুরু করুন শিক্ষকেরা।
দশম শ্রেণি পর্যন্ত হাইস্কুল আজ থেকে খুলে যাচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই জানিয়েছেন, কর্নাটকের প্রি-ইউনিভার্সিটি এবং ডিগ্রি স্তরের কলেজগুলি খোলার বিষয়ে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে কর্নাটকের যে উদুপি জেলায় হিজাব ঘিরে বিক্ষোভ ও বিতর্কের সূত্রপাত, সেখানকার সমস্ত স্কুল চত্বরে ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন। ভোর ৬টা থেকে সন্ধে ৬টা পর্যন্ত স্কুলে ১৪৪ ধারা জারি থাকবে। চলবে ১৯ ফেব্রুয়ারি অবধি। অপ্রীতিকর ঘটনার সম্ভাবনা এড়াতেই এই সিদ্ধান্ত বলে জেলা প্রশাসন জানিয়েছে।
এদিকে হিজাব নিয়ে মন্তব্য, পাল্টা মন্তব্য চলছেই। কটি সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ হিজাব বিতর্কে মুখ খুলেছেন। বলেছেন, দেশ চলবে সংবিধান অনুসরণ করে, শরিয়ত মেনে নয়। ভারতকে ইসলামিক রাষ্ট্র বানানোর স্বপ্ন সফল হবে না। বিতর্কিত মন্তব্য করে খবরের শিরোনামে কংগ্রেস নেতা জামির আহমেদ। তাঁর বক্তব্য, “হিজাব না পরার জন্যই ধর্ষম হয় দেশে”। তিনি বলেন, হিজাব মানে মুসলিমদের কাছে পর্দা। যাঁদের বাড়িতে কন্য়াসন্তান আছে তাঁরা বিষয়টি বুঝবেন। যখন মেয়েরা বড় হয় তখন তাদের হিজাবের মধ্যে রাখা হয়, তাদের সৌন্দর্য লুকিয়ে রাখার জন্য়। ঢেকে রাখার জন্য় হিজাব পরানো হয়। এই যে ধর্ষণের হার সবথেকে বেশি এই দেশে, তার কারণ পর্দার ভেতর না থাকা। কংগ্রেস নেতার এমন মন্তব্য নিয়ে নিন্দার ঝড় বইছে নেট দুনিয়ায়।