
দ্য ওয়াল ব্যুরো: কেন্দ্রীয় বিদেশমন্ত্রকেও এবার করোনাভাইরাসের থাবা। এই মন্ত্রকের দুই আধিকারিক কোভিড ১৯-এ আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁদের আইসোলেশনে পাঠানো হয়েছে। তাঁদের সঙ্গে কর্মরত বহু কর্মীকে পাঠানো হয়েছে কোয়ারেন্টাইনে।
জানা গিয়েছে, গত ২৭ মে এই দুই আধিকারিকের কোভিড পজিটিভ ধরা পড়ে। তাঁদের মধ্যে একজন বিদেশমন্ত্রকের সেন্ট্রাল ইউরোপ ডিভিশনে কাজ করেন। অন্যজন সেখানকার ল (আইন) ডিভিশনে কাজ করেন। এই খবর জানার পরেই সেন্ট্রাল ইউরোপ ডিভিশনের বাকি কর্মীদের ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইনে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ঠিক একই ভাবে ওই ল অফিসারের সংস্পর্শে আসা কর্মীদেরও পাঠানো হয়েছে ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইনে।
বিদেশমন্ত্রকের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, “বিদেশমন্ত্রকের কোনও আধিকারিক ও কর্মী করোনা আক্রান্ত হলে সঙ্গে সঙ্গে কী ভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে সেই সংক্রান্ত নির্দেশ আগে থেকেই দেওয়া ছিল। কেন্দ্রের তরফে যে স্বাস্থ্যবিধি জারি করা হয়েছে সেই অনুযায়ীই কাজ করা হয়েছে।”
প্রোটোকল অনুযারে এই মুহূর্তে সেন্ট্রাল ইউরোপ ডিভিশন ও ল ডিভিশন বন্ধ রাখা হয়েছে। এই দুটি ডিভিশনের ঘরগুলি জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করা হবে।
এই প্রথম কেন্দ্রীয় বিদেশমন্ত্রকে করোনা সংক্রমণের ঘটনা ঘটল। অন্যান্য মন্ত্রকের কিছু কিছু দফতরে অবশ্য সংক্রমণ আগেই ছড়িয়েছে। এই মুহূর্তে বিদেশে আটকে থাকা ভারতীয়দের দেশে ফেরাতে ও এখান থেকে বিদেশিদের তাঁদের দেশে ফেরানোর ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিচ্ছে বিদেশমন্ত্রক। যদিও তাদের সব কাজ অনলাইনেই হচ্ছে। কয়েক দিন আগেই বিশ্বের প্রায় সব দেশের বিদেশমন্ত্রীদের মধ্যে ভিডিও কনফারেন্সে আলোচনা হয়। সেখানে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করও ছিলেন।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের বুলেটিন অনুসারে ৩০ মে শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা মোট ১,৭৩,৭৬৩। কোভিড-১৯ সংক্রমণে এ যাবৎ দেশে মৃত্যু হয়েছে ৪৯৭১ জনের। সংক্রমণ সারিয়ে সুস্থ হয়েছেন ৮২,৩৭০ জন। এখন দেশে সুস্থতার হার ৪৭.৪০ শতাংশ। ভারতে এখন অ্যাকটিভ কেসের সংখ্যা ৮৬,৪২২।