
বৈঠকে যাননি তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী তথা টিআরএস প্রধান কে চন্দ্রশেখর রাও। তিনি জানিয়েছেন, রাজ্য সরকারের সেচ দফতরের একটি বড় প্রকল্প উদ্বোধন থাকায় দিল্লিতে যেতে পারছেন না তিনি। যাননি পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংও। অসুস্থতার কারণেই তিনি নীতি আয়োগের বৈঠকে যেতে পারেননি।
বাকি সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, রাজ্যপাল, মন্ত্রী ও সরকারের গুরুত্বপূর্ণ সচিবরা উপস্থিত রয়েছেন রাষ্ট্রপতি ভবনের এই বৈঠকে। দ্বিতীয় মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পর এটাই প্রথম নীতি আয়োগের বৈঠক। প্রথম মোদী সরকারের সময়েই প্ল্যানিং কমিশন তুলে দিয়ে নীতি আয়োগ তৈরি করা হয়। নীতি আয়োগ তৈরি হওয়ার পর থেকে এই নিয়ে পঞ্চম বৈঠক হচ্ছে।
বাংলার মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট জানিয়েছিলেন, নীতি আয়োগের কোনও গুরুত্বই নেই। তাঁর কথায়, “ওখানে কী করতে যাব! ভাষণ শুনতে! ওঁদের ভাষণ শোনার আমার কোনও দরকার নেই।” পর্যবেক্ষকদের মতে, কেন্দ্রের ডাকা এই ধরনের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপস্থিতির ঘটনা এই প্রথম নয়। এর আগেও এমন করেছেন তিনি। তবে গত বছর জাতীয় উন্নয়ন পর্ষদের একটি বৈঠকে যোগ দিতে দিল্লি গিয়েছেন মমতা। অন্য সময় অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র বা অন্য কোনও প্রতিনিধিকে পাঠান মমতা। কিন্তু নীতি আয়গের বৈঠকে সেই সুযোগ নেই। মুখ্যমন্ত্রীদেরই যেতে হয় এই বৈঠকে।
মাওবাদী সমস্যা নিয়ে এই বৈঠকের অন্যতম আলোচ্য বলে জানা গিয়েছে। ভোটের প্রচারেও বিজেপি নেতারা বলেছিলেন, প্রথম মোদী সরকার মাওবাদী দমনে অনেকটা সফল হয়েছে। তবে এ বার তাঁদের টার্গেট ২০২১ সালের মধ্যে নকশাল মুক্ত ভারত গড়ে তোলা। গতকালই ঝাড়খণ্ডের গালুডিতে মাওবাদী হামলা ঘটেছে। আর এ দিনই হচ্ছে নীতি আয়োগের বৈঠক। কৃষি ও কৃষকদের নানান বিষয় নিয়েও নীতি আয়োগের বৈঠকে আলোচনা হবে বলে জানা গিয়েছে।