Latest News

কেন্দ্রীয় সরকার ‘সুপার স্প্রেডার’, না জানিয়ে ট্রেন পাঠানোয় ক্ষুব্ধ কেরল

দ্য ওয়াল ব্যুরো: গত সপ্তাহেই কেন্দ্রীয় সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, অন্য রাজ্যে আটকে থাকা শ্রমিকদের ফেরাতে আর সংশ্লিষ্ট রাজ্যের অনুমতি নেওয়া হবে না। রেলমন্ত্রকই ঠিক করবে কোন ট্রেন কোথা থেকে কোন রাজ্যে যাবে। এ নিয়ে মহারাষ্ট্র সরকারের পর দিল্লির সমালোচনায় মুখর হল বাম শাসিত কেরল।

রাজ্যকে কিছু না জানিয়ে শ্রমিক ট্রেন পাঠানো নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে দু’দিন আগেই চিঠি লিখেছিলেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। সেই চিঠিতে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী। তার মধ্যেই কেরলের অর্থমন্ত্রী টমাস আইজ্যাক কেন্দ্রকে ‘সুপার স্প্রেডার’ বলে কটাক্ষ করেছেন। তাঁর বক্তব্য, কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের কারণেই সংক্রমণ বাড়ছে।

এই মুহূর্তে কেরলে করোনা অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা ৮৯৬। গত কয়েকদিনে মহারাষ্ট্র থেকে ফেরা ৭২ জন, কর্ণাটক থেকে ৩৫ জন এবং তামিলনাড়ু থেকে ফেরা ৭১ জনের শরীরে করোনা পজিটিভ মিলেছে। মঙ্গলবার কেরলে ৬৭ জনের শরীরে কোভিড সংক্রমণ মেলে। তার মধ্যে ২৭ জন বন্দে ভারত মিশনে বিদেশ থেকে ফেরা ভারতীয়।

এ ব্যাপারে কেরল সরকার তাদের বক্তব্য স্পষ্ট করে জানিয়েছে, বাইরের রাজ্য বা বিদেশে আটকে থাকা মানুষ ঘরে ফিরবেন সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু রাজ্যকে তো জানতে হবে কত জন, কোথা থেকে ফিরছেন। না হলে তাঁদের যথাযথ স্ক্রিনিং, হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখার ব্যবস্থা কী ভাবে করা যাবে। রাজ্য সরকারকে তো সব কিছুর ব্যবস্থা করে রাখতে হবে।

সম্প্রতি মুম্বই এবং তামিলনাড়ু থেকে দুটি শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন তিরুঅনন্তপুরম এবং কোঝিকোড়ে পৌঁছয়। কেরল সরকারের দাবি, এই ট্রেনের ব্যাপারে রাজ্য সরকার কিছুই জানত না। হঠাৎ দেখা গেল ট্রেন চলে এসেছে। ফলে শ্রমিকদের বাড়ি পৌঁছে দেওয়া ও স্ক্রিনিং নিয়ে অব্যবস্থা তৈরি হয়। কেরল সরকারের দাবি, রাজ্যকে অন্ধকারে রেখে ট্রেন পাঠিয়ে কেন্দ্র সংক্রমণকে বাড়িয়ে দিচ্ছে।

এমনিতে করোনা সংক্রমণ রোধে কেরল সরকারের ভূমিকা সর্বত্র প্রশংসিত হয়েছে। এমনকি বিদেশের সংবাদমাধ্যমেও ফলাও করে ছাপা হয়েছে বিজয়ন সরকারের ভূমিকা। গত জানুয়ারি মাসে দেশে প্রথম কোভিড আক্রান্তের হদিশ মিলেছিল দক্ষিণের এই রাজ্যেই। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কেরল একাধিক কার্যকরি পদক্ষেপ করে। অনেকের মতে, নিপা ভাইরাস ঠেকানোর অভিজ্ঞতা দিয়েই করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করছে ‘ঈশ্বরের আপন দেশ।’ মৃত্যু হারও অন্য রাজ্যের সঙ্গে কোনও তুলনায় আসে না। সেই কেরল এবার সংক্রমণ ছড়ানোর জন্য সরাসরি কাঠগড়ায় তুলল কেন্দ্রকে।

You might also like