
দ্য ওয়াল ব্যুরো: অপেক্ষা আর কিছুদিনের। মে মাসের মধ্যে রাশিয়া থেকে প্রথম দফায় স্পুটনিক ভি টিকার কযেক লক্ষ ডোজ চলে আসছে ভারতে। এমনটাই জানাল দেশে এই টিকার উৎপাদন ও বিতরণের দায়িত্বে থাকা হায়দরবাদের ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি ডক্টর রেড্ডিস ল্যাবরেটরি। সংস্থার শীর্ষ আধিকারিক দীপক সাপরা বলছেন, প্রথম দফায় রাশিয়া থেকে আসা টিকারই বিতরণ হবে দেশে। এরপরে দেশেই উৎপাদন হবে রুশ টিকার। ৬টি ইউনিটে টিকা তৈরির তোড়জোড় চলছে।
পুণের সেরাম ইনস্টিটিউটের তৈরি কোভিশিল্ড ও ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিনের পরে তৃতীয় টিকা হিসেবে রাশিয়ার স্পুটনিক ভি-কেই ছাড়পত্র দিয়েছে কেন্দ্রীয় ড্রাগ নিয়ামক সংস্থা। রুশ কোম্পানি গ্যামেলিয়া রিসার্চ ইনস্টিটিউটের তৈরি স্পুটনিক ভি টিকা ভারতে তৈরির জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছে ডক্টর রেড্ডিস ল্যাবরেটরি। রাশিয়ার ডাইরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট ফান্ডের তত্ত্বাবধানে ডক্টর রেড্ডিসে এই টিকার ট্রায়াল হয়েছে। ভারতীয়দের শরীরে রুশ টিকা কতটা কার্যকরী হচ্ছে সে রিপোর্টও জমা দিয়েছেন ডক্টর রেড্ডিসের বিশেষজ্ঞরা। সেই রিপোর্ট দেখেই জরুরি অবস্থার ভিত্তিতে স্পুটনিক ভি টিকাকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে ভারতে।
সংস্থার আধিকারিক দীপক সাপরা বলছেন, দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা যেভাবে বেড়ে চলেছে তাতে খুব দ্রুত টিকাকরণে গতি আনতে হবে। দেশের ৬টি ইউনিটে রাশিয়ার টিকার উৎপাদন হবে। টিকার ডোজ তৈরি হতে আরও মাস দুয়েক সময় লাগবে। তাই প্রথম দফায় রাশিয়া থেকে আসা টিকার ভায়ালই বিতরণ করা হবে। মে মাসের ১ তারিখ থেকে ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে টিকাকরণ শুরু হয়ে যাবে, তাই টিকার পর্যাপ্ত যোগান থাকা দরকার। দেশের ৬টি ইউনিটের মধ্যে প্রথম দুটি টিকার ডোজ সরবরাহ করতে পারে জুন-জুলাই নাগাদ। পরের দফায় অগস্টে আরও দুটি ইউনিট টিকার ডোজ সরবরাহ করবে। প্রতিটি দফায় উৎপাদন বাড়ানো হবে। সেপ্টেম্বর-অক্টোবরের মধ্যে কয়েক কোটি টিকার ডোজ তৈরি হয়ে যাবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
রেড্ডিস আরও জানিয়েছে, এ বছরেই অন্তত ১২ থেকে ১৩ কোটি মানুষকে রুশ টিকার দুটি ডোজ দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। অন্যান্য বিদেশি ভ্যাকসিনের তুলনায় রুশ টিকার দাম কম রাখারই চেষ্টা করা হচ্ছে। আপাতত দেশের বাজারে এই টিকার একটি ডোজের দাম পড়বে ৭৫০ টাকা। তবে উৎপাদন বাড়লে দাম আরও কমানো হতে পারে বলে আশ্বাস দিয়েছে ডক্টর রেড্ডিস।