
দ্য ওয়াল ব্যুরো : প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ দিল্লির এইমস-এ ভর্তি শুনেই ছুটে গিয়েছিলেন। তার কিছুক্ষণ পরেই সবাইকে ছেড়ে চলে যান সুষমা। তারপরেই টুইট করে শোক জানিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মহিলা ও শিশু উন্নয়নমন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। তারপরে ফের একটা টুইট করে সুষমার প্রতি অভিমান জানালেন স্মৃতি। বললেন, কথা না রেখেই চলে গেলেন তাঁর অত্যন্ত শ্রদ্ধার এই নেত্রী।
টুইটে স্মৃতি লেখেন, “আমার আপনার সঙ্গে একটা কথা হয়েছিল দিদি। আপনি বলেছিলেন আমাকে ও বাঁশুরিকে ( সুষমার মেয়ে ) আপনার পছন্দের রেস্তোরাঁতে খাওয়াবেন। কিন্তু আমাদের দেওয়া সেই কথা না রেখেই আপনি চলে গেলেন।” স্মৃতির এই টুইটের পরে অনেকেই তা রিটুইট করেন। অনেকে আবার কমেন্টে লেখেন, সত্যিই কতটা কষ্ট থেকে এই টুইট লেখা তা বোঝা যাচ্ছে। কেউ আবার বলেন, সবার আগে হাসপাতালে ছুটে গিয়েছিলেন স্মৃতি ইরানি। সুষমা স্বরাজকে নিজের দিদির মতোই মনে করতেন তিনি।
এই টুইটের আগে অবশ্য আরও একটি টুইট করেন স্মৃতি। সেখানে তিনি লেখেন, “সুষমাজির অকাল মৃত্যু দলের কোটি কোটি কর্মীদের মতো আমাকেও স্তম্ভিত করেছে। আমি পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা জানাই। দলের কর্মী হিসেবে আমরা যদি মহিলাদের সম্মান রক্ষা ও তাঁদের জীবনযাত্রার মান আরও ভালো করতে পারি, তবেই সেটা সুষমাজিকে আমাদের শ্রদ্ধা জানানো হবে।”
প্রথমবার রাজনীতির আঙিনায় পদার্পণ করে মন্ত্রী হয়ে সুষমা স্বরাজকে কাছ থেকে দেখেছেন স্মৃতি ইরানি। মাঝে বেশ কিছুদিন অসুস্থ ছিলেন সুষমা। তাঁর কিডনিও প্রতিস্থাপন করা হয়। এ বার আর নির্বাচনে দাঁড়াতে চাননি জনপ্রিয় এই বিদেশমন্ত্রী। বিদেশমন্ত্রী হিসেবে যথেষ্ট জনপ্রিয় ছিলেন সুষমা স্বরাজ। যখনই কেউ সমস্যায় পড়ে কোনও সাহায্যের আবেদন করতেন, সঙ্গে সঙ্গে তার জবাব দিতেন। তাঁর সেন্স অফ হিউমারও জনপ্রিয় ছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। যে দিন তিনি জানান, আর ভোটে দাঁড়াবেন না, সে দিন অনেক মানুষ টুইটারে ধন্যবাদ জানিয়েছিলেন তাঁকে।