
মৌসম ভবনের তরফে জানানো হয়েছে, শনিবার দিল্লির সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রবিবারও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই মরশুমে গতকাল থেকে বেশি গরম পড়েছে রাজধানীতে। রাজস্থানের চারুর তাপমাত্রা শনিবার ছিল সর্বোচ্চ ৪৬.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটাই ছিল ভারতের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। এছাড়া মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, মহারাষ্ট্র, রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশের বেশ কিছু এলাকায় তাপমাত্রা ৪২- ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল শনিবার।
আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় উমফানের পর আবহাওয়ায় বদল হচ্ছে। ভারতের মধ্য, উত্তর – পশ্চিম ও পশ্চিম অংশে বইতে শুরু করেছে শুষ্ক উত্তর পশ্চিমী বায়ু। এই বায়ুপ্রবাহের ফলে তাপমাত্রা ক্রমশ বাড়ছে। আগামী কয়েক দিন এই দৃশ্যই দেখা যাবে। মধ্য ভারতে লু বইতে দেখা যাবে। সেইসঙ্গে উষ্ণপ্রবাহ দেখা যাবে।
সাধারণত কোনও সমতল জায়গার তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি, উপকূল এলাকার তাপমাত্রা ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি ও পাহাড়ি এলাকার তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি হলে সেখানে উষ্ণপ্রবাহের সতর্কতা জারি করা হয়। স্বাভাবিকের থেকে ৪-৬ ডিগ্রি বেশি তাপমাত্রা ও টানা দু’দিন কোনও জায়গার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি হলে তখন তাকে উষ্ণপ্রবাহ বলা হয়।
মৌসম ভবনের আধিকারিক নরেশ কুমার জানিয়েছেন, “উমফানের পরেই এই আবহাওয়ার পরিবর্তন হয়েছে। ১৫-১৭ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা গতিবেগে উত্তর পশ্চিমী বায়ুপ্রবাহ শুরু হয়েছে। তার জেরে আগামী কয়েক দিন রাজস্থান, গুজরাত, মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, মধ্যপ্রদেশ, বিহার ও তেলেঙ্গানার কিছু এলাকায় উষ্ণপ্রবাহ দেখা যাবে। ২৭ তারিখ পর্যন্ত এই আবহাওয়া চলবে। তারপর থেকে ফের আবহাওয়া স্বাভাবিক হবে।”