Latest News

লকডাউনের মধ্যে ১৭ দিনের মেয়েকে কোলে নিয়ে ৫০০ কিলোমিটার পাড়ি তরুণীর  

এই ঘটনা জানাজানির পরে আঙুল উঠেছে প্রশাসনের দিকে। লকডাউনে সব কিছু বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরেও প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছিল, জরুরি ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হবে। সদ্যোজাত সন্তানকে নিয়ে তরুণীর বাড়ি ফেরার আর্জি কি সেই জরুরি ক্ষেত্রর মধ্যে পড়ছে না, সেটাই অভিযোগ তরুণীর পরিবারের।

দ্য ওয়াল ব্যুরো: লকডাউনের ফলে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে আটকে পড়েছেন অভিবাসী শ্রমিকরা। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নির্দেশের পরে অনেক রাজ্য থেকে ট্রেনে করে শ্রমিকদের রাজ্যে ফিরিয়ে আনা হলেও এই কাজে অনেক দেরি হচ্ছে বলে অভিযোগ শ্রমিকদের। তাই অনেকেই পায়ে হেঁটে ফেরার চেষ্টা করছেন। ১৭ দিনের মেয়েকে নিয়ে ৫০০ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে বাড়ি ফিরেছেন এক তরুণীও। তাঁর অভিযোগ, আবেদন করলেও একটা গাড়ি ভাড়া করার অনুমতি দেওয়া হয়নি তাঁকে। তাই এই পদক্ষেপ নিয়েছেন তিনি।

জানা গিয়েছে, মুম্বইয়ে কাজ করতেন ওই তরুণী। তাঁর বাড়ি মহারাষ্ট্রের বিদর্ভ এলাকায় ওয়াশিমে। গর্ভবতী অবস্থাতেও কাজ করছিলেন ওই তরুণী। ভেবেছিলেন সন্তান জন্মের আগে বাড়ি ফিরবেন। কিন্তু লকডাউনে আটকে পড়েন। মাস খানেক আগে তাঁর এক কন্যা সন্তান হয়। জন্মের পরে তাঁর ও সন্তানের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। রিপোর্ট আসে নেগেটিভ।

তরুণী জানিয়েছেন, তিনি সিদ্ধান্ত নেন বাড়ি ফিরবেন। একটা গাড়ি ভাড়া করার জন্য অনুমতিও চান প্রশাসনের কাছে। কিন্তু অনুমতি পাওয়া যায়নি। এদিকে হাতে টাকা বেশি না থাকায় তিনি ঠিক করেন হেঁটেই বাড়ি ফিরবেন। সেইমতো ১৭ দিনের মেয়েকে কোলে নিয়েই রওনা দেন তিনি।

আরও পড়ুন করোনা রোগীদের পাশেই পড়ে একাধিক মৃতদেহ, মুম্বইয়ের হাসপাতালের ভিডিও ভাইরাল

জানা গিয়েছে, ১২ দিনে প্রায় ৫০০ কিলোমিটার হেঁটে গ্রামে পৌঁছন ওই তরুণী। শেষ কয়েক দিন খাবারও শেষ হয়ে গিয়েছিল তাঁর। না খেয়েই সেই কটাদিন কাটান। অবশেষে গ্রামে ফেরার পরে তাঁকে ও তাঁর সন্তানকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সন্তান জন্মানোর পরেই এই আবহাওয়ায় এতটা ধকল হওয়ায় শরীর খারাপ হয়ে গিয়েছে ওই তরুণীর। যদিও তাঁর মেয়ে ভাল আছে বলেই খবর।

এই ঘটনা জানাজানির পরে আঙুল উঠেছে প্রশাসনের দিকে। লকডাউনে সব কিছু বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরেও প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছিল, জরুরি ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হবে। সদ্যোজাত সন্তানকে নিয়ে তরুণীর বাড়ি ফেরার আর্জি কি সেই জরুরি ক্ষেত্রর মধ্যে পড়ছে না, সেটাই অভিযোগ তরুণীর পরিবারের। হেঁটে বা অন্য উপায়ে বাড়ি ফিরতে গিয়ে গত কয়েক মাসে পথেই মৃত্যু হয়েছে অনেকের। সেরকমই কিছু ওই তরুণী বা তাঁর মেয়ের সঙ্গে হল কী হত, সেটাই ভাবছেন পরিবারের লোক।

You might also like