
আগামী ৫ অগস্ট অযোধ্যায় রামমন্দির নির্মাণের জন্য ভূমি পুজো রয়েছে। এই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও দেশের অন্যান্য বিশেষ অতিথিদের উপস্থিত থাকার কথা। অনেক নেতা-মন্ত্রীও সেদিন অযোধ্যায় উপস্থিত থাকবেন। এখন থেকেই তার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। তাই ৫ অগস্ট পর্যন্ত এই হনুমান চালিশা পাঠের আবেদন করেছেন তিনি।
ভোপালের বিজেপি সাংসদ টুইট করে বলেছেন, “চলুন আমরা সবাই মিলে মানুষের ভাল স্বাস্থ্য ও এই করোনা অতিমারীকে দূর করার জন্য এক আধ্যাত্মিক চেষ্টা করি। বাড়িতে বসে ২৫ জুলাই থেকে ৫ অগস্ট পর্যন্ত হনুমান চালিশা দিনে ৫ বার পাঠ করুন। ৫ অগস্ট বাড়িতে প্রদীপ জ্বালিয়ে ও ভগবান রামের আরতি করে এই পাঠ শেষ করুন।”
এই টুইটের সঙ্গে একটি ভিডিও শেয়ার করেন প্রজ্ঞা। সেখানে দেখা যাচ্ছে, আগামী ৪ অগস্ট পর্যন্ত জারি করা লকডাউনে মধ্যপ্রদেশের বিজেপি সরকার কী ভাবে করোনা প্রতিরোধের কাজ করছে। কী ভাবে কড়া লকডাউন পালন করা হচ্ছে তার ভিডিও শেয়ার করেছেন তিনি।
প্রজ্ঞা ঠাকুর আরও বলেন, “৪ অগস্ট লকডাউন শেষ হয়ে যাবে। ৫ অগস্ট এই হনুমান চালিশা পাঠের রীতি শেষ হবে। সেদিনই অযোধ্যায় ভূমি পুজো করা হবে। আমরা সেই দিনটিকে দীপাবলীর মতো উদযাপন করব। যখন গোটা দেশের হিন্দুরা একসঙ্গে হনুমান চালিশা পাঠ করবেন, এটা নিশ্চয় কাজে দেবে। আমরা করোনাভাইরাস থেকে মুক্ত হব। এটাই ভগবান রামের কাছে আপনাদের প্রার্থনা হবে।”
ইতিমধ্যেই অবশ্য প্রজ্ঞা ঠাকুরের এই বক্তব্যের সমালোচনা শুরু করেছে বিরোধী দল কংগ্রেস। তাদের অভিযোগ, রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার কী হাল তা সবার কাছে পরিষ্কার। দেশের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নিজেই আক্রান্ত হন, সে রাজ্যের সার্বিক পরিস্থিতি কী তা আর কাউকে বোঝাতে হয় না। আর এই হনুমান চালিশা পাঠের কথা বলে ফের ধর্মে ধর্মে বিভাজন করার চেষ্টা করছেন বিজেপি সাংসদ, এমনটাই অভিযোগ কংগ্রেসের।
অন্যদিকে বিজেপির তরফে পালটা বলা হয়েছে, রাজ্যে সংক্রমণ কতটা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে তা পরিসংখ্যান থেকেই স্পষ্ট। বাইরে বেরিয়ে সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করতে গিয়েই আক্রান্ত হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেটা নিয়েও নোংরা রাজনীতি করছে কংগ্রেস।