
এদিন নরেন্দ্র মোদীর টুইটের কিছুক্ষণ পরেই টুইট করেন রাহুল গান্ধী। সেখানে তিনি লেখেন, “ঘৃণা ছাড়ুন, সোশ্যাল মিডিয়া নয়।”
Give up hatred, not social media accounts. pic.twitter.com/HDymHw2VrB
— Rahul Gandhi (@RahulGandhi) March 2, 2020
টুইট করে মোদীকে কটাক্ষ করেন কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা। তিনি বলেন, “মোদীজি আপনার কাছে একটা আবেদন। শুধু নিজে সোশ্যাল মিডিয়া ছেড়ে যাবেন না, সেই সঙ্গে আপনার সেইসব ভক্ত যারা প্রতি মুহূর্তে আপনার নামে ভয় দেখায়, ট্রোল করে, দেশজুড়ে হিংসা ছড়ানোর চেষ্টা করে, তাদেরও সোশ্যাল মিডিয়া ছেড়ে যাওয়ার পরামর্শ দিন।”
Respected Modi ji,
Earnestly wish you would give this advise to the concerted army of trolls, who abuse-intimidate-badger-threaten others every second in you name!
Sincere Regards,
Citizens of India. https://t.co/hGtf64Fyf9— Randeep Singh Surjewala (@rssurjewala) March 2, 2020
রাহুলের টুইটের জবাব আবার দিয়েছেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব। তিনি রাহুলকে কটাক্ষ করে বলেন, “আচ্ছা, তাহলে এই কারণেই কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধীর কোনও সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট নেই।”
সোমবার সন্ধেবেলা হঠাৎই মোদীর ব্যক্তিগত টুইটার হ্যান্ডল থেকে দু’লাইনের একটি টুইট ভেসে আসে। সেখানে লেখা, “ভাবছি ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউব, টুইটারের মতো সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়া থেকে এই রবিবারই সরে যাব। আপনাদের জানিয়ে দেব।”
স্বাভাবিক ভাবেই গোটা দেশজুড়ে কৌতূহল তৈরি হয়েছে, কেন এই সিদ্ধান্ত নিলেন প্রধানমন্ত্রী। সোশ্যাল মিডিয়াকে যে রাজনীতিকরা ব্যক্তিগত প্রচার ও রাজনৈতিক কৌশলের হাতিয়ার করেছেন, তাঁদের মধ্যে নরেন্দ্র মোদী অগ্রগণ্য। শুধু দেশে নয়, আন্তর্জাতিক স্তরেও সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর জনপ্রিয়তা অনেক সেলিব্রিটির থেকেও বেশি।
মোদী যখন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী, সোশ্যাল মিডিয়ায় তখন থেকেই হাত পাকিয়েছেন তিনি। আসলে নেপথ্যে কাজ করেছে পেশাদার টিম। এবং একজন আঞ্চলিক নেতা হয়েও সোশ্যাল মিডিয়াই তাঁকে সর্বভারতীয় মঞ্চে পৌঁছে দিয়েছে। গুজরাতের গুড গভর্নেন্স থেকে আচ্ছে দিনের স্বপ্নবিক্রি– এই সোশ্যাল মিডিয়াই তখন গপগপ করে খেয়েছে। ভাইরাল হয়েছে তৎকালীন শাসক কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তাঁর সমস্ত টীকাটিপ্পনী। পরবর্তী কালে মোদী নিজেও বলেছেন, দুনিয়ায় এখন ডিজিটাল বিপ্লব চলছে। চলছে তথ্য আদানপ্রদানের বিপ্লবও। ফলে সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার গুড গভর্নেন্সের জন্যও বিশেষ অস্ত্র। এই প্রসঙ্গেই তিনি ‘থ্রি-সি’র কথা বলেন। কানেক্ট, কমিউনিকেট এবং কারেক্ট।
এই মুহূর্তে টুইটারে পাঁচ কোটিরও বেশি ফলোয়ার মোদীর। ফেসবুকে সাড়ে চার কোটি। ইনস্টাগ্রামে তিন কোটির বেশি। ইউটিউবে ৪৫ লক্ষ। এইসব কিনা ছেড়ে দেবেন বলছেন তিনি। যদিও মোদীর টুইটের পরে তাকে নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়ছেন না বিরোধীরা।