
ভোপাল জুড়ে যে পোস্টার ছড়িয়েছে তাতে লেখা রয়েছে, “যখন ভোপালের বাসিন্দারা করোনা সংক্রমণের জেরে সমস্যায় পড়েছেন, তখন তাঁদের সাংসদকে কোথাও দেখা যাচ্ছে না।”
কংগ্রেস নেতা তথা প্রাক্তন মন্ত্রী কমলেশ্বর পটেল সমালোচনা করেছেন প্রজ্ঞা ঠাকুরের। তিনি বলেন, “এখন ভোটাররা বুঝতে পারছেন ভোট দেওয়ার আগে চিন্তা করা উচিত ছিল। যখন একদিকে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দিগ্বিজয় সিং হেরে যাওয়ার পরেও মানুষের সাহায্যের জন্য দিন-রাত কাজ করছেন, অন্যদিকে তখন জয়ী সাংসদের দেখা নেই। ভবিষ্যতে এই ধরনের কাউকে জেতাবেন না, যিনি মানুষের কঠিন সময়ে পাশে দাঁড়াতে পারেন না। আমরা প্রজ্ঞা ঠাকুরকে ফিরে আসতে অনুরোধ করছি। এখন তো তাঁদেরই সরকার। তাহলে ভয় পাওয়ার কিছু নেই।”
এই সমালোচনার পরে বিজেপির মুখপাত্র রাহুল কোঠারি প্রজ্ঞা ঠাকুরের সমর্থনে মুখ খোলেন। তিনি বলেন, এই মুহূর্তে প্রজ্ঞা ঠাকুর এইমস-এ ভর্তি। তাঁর চোখ ও ক্যানসারের চিকিৎসা চলছে। কিন্তু তাই বলে কাজ থেমে নেই। ভোপালে নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর যোগান থেকে শুরু করে কমিউনিটি কিচেন, সবকিছুর কাজ চলছে। দিগ্বিজয় সিংয়ের কাজ দেখানো শুধুমাত্র রাজনীতি ছাড়া আর কিছু নয় বলে জানিয়েছেন কোঠারি।
মধ্যপ্রদেশে অবশ্য নেতা-মন্ত্রীদের নামে নিরুদ্দেশ পোস্টার এই নতুন নয়। চলতি মাসেই উপনির্বাচনের আগে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথ ও তাঁর ছেলে নকুল নাথের বিরুদ্ধে ছিন্দওয়ারা এলাকায় নিরুদ্দেশ পোস্টার পড়েছিল। সেখানে লেখা ছিল নিজেদের এলাকায় তাঁদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। যে খুঁজে দেবে তাঁকে ২১ হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে বলেও লেখা ছিল সেখানে।
এই মাসেই গোয়ালিয়রের চম্বল এলাকায় জ্যোতিরাদিত্যা সিন্ধিয়া, প্রাক্তন মন্ত্রী ইমারতি দেবী ও লক্ষ্মণ সিং যাদবের নামে নিরুদ্দেশ পোস্টার পড়েছিল। জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার নামে পোস্টার লাগানোর অভিযোগে দুই স্থানীয় নেতাকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ।