
জানা গিয়েছে, বেঙ্গালুরুতে ৩৩৩৮ জন করোনা আক্রান্তের খোঁজ মিলছে না। এই সংখ্যাটা শহরের মোট আক্রান্তের ৭ শতাংশ। গত ১৫ দিনে দেশের আইটি হাবে সংক্রমণ হু হু করে বেড়েছে। দু’সপ্তাহ আগে এই শহরে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল প্রায় ১৬ হাজার। ১৪ দিনে তা আরও প্রায় ২৭ হাজার বেড়েছে। কর্নাটকে নতুন সংক্রমণের অর্ধেক বেঙ্গালুরুতেই দেখা যাচ্ছে।
বৃহৎ বেঙ্গালুরু মহানগর পালিকা বা বিবিএমপি-র তরফে জানানো হয়েছে, অনেক খোঁজার পরেও এই আক্রান্তদের কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। পুরসভার কমিশনার এন মঞ্জুনাথ প্রসাদ জানিয়েছেন, “আমরা পুলিশের সাহায্যে কিছু আক্রান্তের খোঁজ পেয়েছি। কিন্তু এখনও ৩৩৩৮ জন আক্রান্তের কোনও খোঁজ আমরা পাচ্ছি না। তাঁদের মধ্যে কেউ নমুনা পরীক্ষার সময় ভুল ফোন নম্বর ও ঠিকানা দিয়েছিলেন। রেজাল্ট পজিটিভ আসার পরেই তাঁরা উধাও হয়ে গিয়েছেন।”
কোনও ভাবেই এই আক্রান্তদের পদক্ষেপের খোঁজ পাচ্ছে না প্রশাসন। রেজাল্ট পজিটিভ আসার পরে তাঁরা নিজেদের কোয়ারেন্টাইনে রেখেছেন, নাকি সাধারণ মানুষের জীবন যাপন করছেন, তা বুঝে উঠতে পারছে না পুরসভা। এতে সংক্রমণ আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে শহরে।
কর্নাটকের উপমুখ্যমন্ত্রী ডক্টর অশ্বত নারায়ণ বলেছেন, “আমাদের এটা নিশ্চিত করতে হবে যে প্রত্যেক আক্রান্ত ব্যক্তির খোঁজ পাওয়া যায় ও তাঁদের কোয়ারেন্টাইনে রাখা যায়। আমরা এই বিষয়েই গুরুত্ব দিয়েছি। যেভাবে সম্ভব আক্রান্তদের খোঁজ চলছে। তাঁদের আলাদা করার চেষ্টা হচ্ছে।”
এই সমস্যা যাতে ভবিষ্যতে না হয়, তার জন্য এবার থেকে নমুনা পরীক্ষার সময় সরকারি পরিচয়পত্র জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তার সঙ্গে নমুনা পরীক্ষার আগে ফোন নম্বর পরীক্ষা করে দেখে নেওয়া হচ্ছে তা ঠিক কিনা।
শনিবার কর্নাটকে ৫ হাজারের বেশি নতুন আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। পরপর তিনদিন আক্রান্তের সংখ্যা ৫ হাজারের বেশি বেড়েছে। এর ফলে এই রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ৯০ হাজারের বেশি হয়েছে। তার মধ্যে শুধুমাত্র বেঙ্গালুরুতেই আক্রান্তের সংখ্যা ৪৩ হাজার ৫০৩। গত ২৪ ঘণ্টায় এই শহরে নতুন করে ২০৩৬ জন আক্রান্ত হয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় কর্নাটকে ৭২ জনের মৃত্যু হয়েছে কোভিড ১৯-এ। তার মধ্যে বেঙ্গালুরুতে মৃত্যু হয়েছে ৩০ জনের। কর্নাটকে করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৭৯৬ জন।