Latest News

বিহারের সরকারি কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে জলের জন্য মারামারি, সামাজিক দূরত্ব শিকেয়

গত মাসে মহারাষ্ট্রের পুনের একটি কোয়ারেন্টাইন সেন্টার থেকে ৭০ বছরের এক বৃদ্ধ পালিয়ে গিয়েছিলেন। ১৭ কিলোমিটার হেঁটে নিজের বাড়ি পৌঁছন তিনি। তাঁর অভিযোগ ছিল, সেখানে খাবার ঠিকমতো দেওয়া হয় না। থাকার জায়গা, বাথরুম সবকিছুই অস্বাস্থ্যকর। তাই বাধ্য হয়েই চলে এসেছেন তিনি।

দ্য ওয়াল ব্যুরো: জলের জন্য চলছে মারামারি। শিকেয় সামাজিক দূরত্ব। চরম অব্যবস্থার অভিযোগ তুলছেন সবাই। আর এ সবই ধরা পড়ছে ক্যামেরায়। না কোনও ত্রাণ শিবিরের দৃশ্য নয়, এটা হচ্ছে একটা সরকারি কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে। প্রশাসনের বিরুদ্ধে উঠেছে অভিযোগ।

ঘটনাটি বিহারের সমস্তিপুর জেলার ফুলহারা শহরের একটি কোয়ারেন্টাইন সেন্টারের। পাটনা থেকে ১২০ কিলোমিটার দূরে এই সরকারি কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে রয়েছেন ১৫০ জন। আদতে এটি একটি স্কুল। এই পরিস্থিতিতে সেটাই কোয়ারেন্টাইন সেন্টারের চেহারা নিয়েছে। আর সেখানেই দেখা যাচ্ছে স্কুলের মাঠে চলছে মারামারি।

এই মারামারি শুরু হয়েছে একটা জলভর্তি গাড়ি আসার পর। সবাইকে দেখা যাচ্ছে হাতে বালতি নিয়ে হাজির। কে আগে জল নেবে তাই চলছে গণ্ডগোল। আর এসব নাকি হয়েছে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারের অব্যবস্থার জন্য। কোয়ারেন্টাইনে থাকা মানুষদের অভিযোগ, সেন্টারে জলের আকাল। কোনও রকমে একটু জল পাওয়া যায়। কিন্তু তা খাওয়া যায় না। তাই প্রতিদিন জলের গাড়ির জন্য অপেক্ষা করতে হয়।

শুধু জল নয়, কোয়ারেন্টাইন সেন্টারের খাবার নিয়েও অভিযোগ করেছেন অনেকে। সঙ্গে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে থাকতে হচ্ছে বলেও অভিযোগ তাঁদের। বিহারে এই মুহূর্তে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা হাজারের বেশি। রাজ্য জুড়ে প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ মানুষকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। ব্লক স্তরে বিভিন্ন স্কুলে এই ব্যবস্থা করা হয়েছে।

আরও পড়ুন করোনা সংক্রমণ আটকাতে কন্টেইনমেন্ট সম্ভব, কিন্তু সাফল্য নিশ্চিত নয়, জানাল স্বাস্থ্যমন্ত্রক

বিহার সরকার বা স্থানীয় প্রশাসনিক স্তরে অবশ্য এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। তবে এই মারামারির ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ হওয়ার পর থেকেই তা ভাইরাল। নেটিজেনরা অনেকে সমালোচনা করছেন সরকারের ব্যবস্থা নিয়ে। কেউ বলছেন, সরকারের উচিত কোয়ারেন্টাইনে থাকা মানুষদের জন্য অন্তত ভাল থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করতে। সেইসঙ্গে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখারও দাবি করেছেন তাঁরা। কারণ কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে থাকা প্রত্যেকেই আক্রান্ত নন। কিন্তু এভাবে সামাজিক দূরত্ব না মানলে একজনের থেকে বাকিরাও আক্রান্ত হয়ে পড়তে পারেন বলেই তাঁদের অভিযোগ।

গত মাসে মহারাষ্ট্রের পুনের একটি কোয়ারেন্টাইন সেন্টার থেকে ৭০ বছরের এক বৃদ্ধ পালিয়ে গিয়েছিলেন। ১৭ কিলোমিটার হেঁটে নিজের বাড়ি পৌঁছন তিনি। তাঁর অভিযোগ ছিল, সেখানে খাবার ঠিকমতো দেওয়া হয় না। থাকার জায়গা, বাথরুম সবকিছুই অস্বাস্থ্যকর। তাই বাধ্য হয়েই চলে এসেছেন তিনি।

You might also like