
দ্য ওয়াল ব্যুরো: কোভিড সংক্রমণের হার কি তবে কমছে? সে সম্ভাবনাই জোরালো হচ্ছে। দৈনিক আক্রান্ত এখনও খুব একটা কমেনি। পর পর দুদিন দৈনিক সংক্রমণ ১ লাখ ৩৪ হাজারের কাছাকাছি। তবে বুধবারের তুলনায় কোভিডে মৃত্যু কম হয়েছে দেশে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যাণ বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে ২৮৮৭ জনের। গতকাল ছিল তিন হাজারের বেশি।
দিল্লিতে দৈনিক সংক্রমণ বৃদ্ধির হার অনেকটাই কম। মার্চের ১৭ তারিখের পর থেকে প্রথম একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা ৫২৭। কোভিড পজিটিভিটি রেটও একের নীচে নেমে গেছে, ০.৭৮%।
কোভিড অ্যাকটিভ কেসের হারও কমেছে দেশে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রিপোর্ট বলছে, কোভিড অ্যাকটিভ কেসের হার এখন ৬ শতাংশ। গত মাসেই ১৫ শতাংশের ওপরে উঠে গিয়েছিল। উদ্বেগ বেড়েছিল স্বাস্থ্যমন্ত্রকের। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভাইরাস সক্রিয় রোগীর সংখ্যা যত কমবে, কোভিড পজিটিভিটি রেট তথা সংক্রমণের হারও কমবে। কোভিড গ্রাফও ধীরে ধীরে নেমে আসবে। জুনের প্রথম সপ্তাহ থেকেই সংক্রমণের হার কমে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে বলে আশা করা হচ্ছে।
কোভিডের তৃতীয় ঢেউ এলে তা সেকেন্ড ওয়েভের থেকেও বেশি বিপজ্জনক হতে পারে বলে দাবি করা হয়েছে সাম্প্রতিক রিপোর্টে। করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে শিশু ও কমবয়সীদের মধ্যে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কাও রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে সিঙ্গাপুর ইউনিভার্সিটির গবেষকদের বক্তব্য, কোভিডের তৃতীয় ঢেউ আসতে এখনও দেরি আছে। আশা করা হচ্ছে, রতে ১৮ জুনের পর থেকে করোনা সংক্রমণ ৯৭ শতাংশ কমে যাবে। অগস্টের ৩১ তারিখের মধ্যে কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ের ইতি হবে। বিজ্ঞানীরা এও বলেছেন, ৮ ডিসেম্বরের পর থেকে গোটা বিশ্ব করোনা-মুক্ত হতে পারে।
ভ্যাকসিন নীতি নিয়ে কেন্দ্রের কড়া সমালোচনা করেছে সুপ্রিম কোর্ট। কেন্দ্রীয় সরকার স্থির করেছে, ৪৫-এর বেশি বয়সীদের করোনার টিকা দেওয়া হবে বিনামূল্যে। কিন্তু ১৮ থেকে ৪৪ বছর বয়সীদের থেকে ভ্যাকসিনের দাম নেওয়া হবে। কেন্দ্রীয় সরকারের এই নীতির সমালোচনা করে শীর্ষ আদালতের বিচারপতিরা বলেছেন, এই ভ্যাকসিন নীতি অযৌক্তিক। তাছাড়া ভ্যাকসিনের যথেষ্ট সংখ্যক ডোজ পাওয়া যাচ্ছে না। গ্রামের মানুষ সহজে ভ্যাকসিন নিতে পারছেন না। সুপ্রিম কোর্ট সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে, আন্তর্জাতিক বাজারে এবং ভারতে ভ্যাকসিনের দামের একটা তুলনামূলক হিসাব পেশ করতে হবে।
এদিকে কেন্দ্রীয় সরকার আশ্বাস দিয়েছে, জুলাই থেকে অগস্টের মধ্যে দেশে ভ্যাকসিনের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে দেশে। জুলাই মাসের মাঝামাঝি থেকে প্রতিদিনে এক কোটির বেশি ভ্যাকসিনের ডোজ দেওয়া সম্ভব হবে। অগস্টের মধ্যে দেশি ও বিদেশি মিলিয়ে দেশে আরও আটটি নতুন কোভিড ভ্যাকসিন চলে আসবে। ডিসেম্বরের মধ্যে ২০০ কোটি ডোজ তৈরি হয়ে যাবে, ফলে দেশের প্রায় সকলকে টিকার দুটি করে ডোজ দেওয়া হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।