
জাতীয় কোনও কমিশনের বাংলায় আসা এই প্রথম নয়। সাম্প্রতিক অতীতে জাতীয় মহিলা ও শিশুরক্ষা কমিশন, মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধি দল একাধিক ইস্যুতে একাধিক বার বাংলায় এসেছে।
শনিবার তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে সন্দেশখালিতে তিন জন নিহত হয়েছে। বিজেপি-র দাবি, তাদের আরও বেশ কয়েকজন কর্মী নিখোঁজ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ওই ঘটনা নিয়ে নবান্নকে অ্যাডভাইজারি নোট পাঠিয়েছে। যা পেয়ে কার্যত তেলেবেগুনে জ্বলে উঠেছিল তৃণমূল। রাজ্যপালও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এই পরিস্থিতিতে এনসিএসসি-র আসাকে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
সন্দেশখালির ঘটনার চার দিন পার হয়ে যাওয়ার পরও মূল অভিযুক্ত শেখ শাহজাহান অধরা। সন্দেশখালিতে যাননি সরকারের কোনও উচ্চপদস্থ আমলাও। বিরোধীরা ইতিমধ্যেই বলতে শুরু করেছে, নিমতায় তৃণমূলকর্মী নির্মল কুণ্ডু খুন হওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সঙ্গে সেখানে গিয়েছিলেন ডিজি বীরেন্দ্র। কিন্তু এখানে মুখ্যমন্ত্রী তো দূরের কথা, ডিজিও যাননি। তাঁকে ফোন করা হলে তিনি বলেছিলেন, “ব্যস্ত আছি। পরে কথা বলব।” এখন দেখার ডিজি, স্বরাষ্ট্র সচিব, মুখ্য সচিবরা যান কি না।
পর্যবেক্ষকদের মতে, এ যেন ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি। বাম জমানায় তৃণমূল দিল্লিতে দরবার করত এই কমিশন সেই কমিশনকে বাংলায় আসতে। এখন তৃণমূল জমানায় বিজেপি করছে।