
লকডাউনের চতুর্থ পর্যায়ে পরিবহণে মিলতে পারে একাধিক ছাড়, নজর শপিং মলের দিকেও
গত মঙ্গলবার জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন, আমাদের করোনার সঙ্গেই থাকতে হবে। তবে করোনাকে আমাদের উপর প্রভাব ফেলতে দেওয়া চলবে না। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখব আমরা। মাস্ক পরব। তার সঙ্গে স্বপ্নও দেখব।
গত মঙ্গলবার জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন, আমাদের করোনার সঙ্গেই থাকতে হবে। তবে করোনাকে আমাদের উপর প্রভাব ফেলতে দেওয়া চলবে না। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখব আমরা। মাস্ক পরব। তার সঙ্গে স্বপ্নও দেখব। তাই লকডাউনের চতুর্থ পর্যায়ে এক নতুন রূপ দেখা যাবে। সব রাজ্যগুলিকে এই সংক্রান্ত মতামত কেন্দ্রকে জানানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন মোদী।
১২ মে থেকে শুরু হয়েছে ১৫ জোড়া ট্রেন চলাচল। আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত সব টিকিট ক্যানসেল করা হলেও এভাবে ধাপে ধাপে ট্রেন চলাচল কিছুটা বাড়ানো হতে পারে বলে খবর। সেইসঙ্গে এবার নজর দেওয়া হবে বিমান, বাস ও মেট্রো পরিষেবায়। এয়ারপোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার তরফে আগেই জানানো হয়েছে, ঘরোয়া বিমান পরিষেবা শুরু হতে পারে। আমেরিকা, ব্রিটেন, কানাডার মতো কিছু দেশে বিমান পরিষেবার জন্য টিকিট বুকিং শুরু করেছে এয়ার ইন্ডিয়াও।
ছাড় দেওয়া হতে পারে বাস পরিষেবাতেও। কন্টেইনমেন্ট জোন বাদে বাকি এলাকাগুলিতে চালু হতে পারে বাস চলাচল। সেইসঙ্গে মেট্রো পরিষেবা চালু করারও চিন্তাভাবনা করছে কেন্দ্র। তবে সব ক্ষেত্রেই সামাজিক দূরত্ব, মাস্ক পরা ও পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার নির্দেশ দেওয়া হবে। কনস্ট্রাকশনের কাজও শুরু করা হতে পারে। তাহলে পরিযায়ী শ্রমিকদের কিছুটা সুরাহা হবে।
আরও পড়ুন আউরাইয়ার দুর্ঘটনার পরে বন্ধ করা হল উত্তরপ্রদেশ সীমান্ত, আটকে পড়ে বিক্ষোভ পরিযায়ী শ্রমিকদের
সেইসঙ্গে চালু হতে পারে শপিং মলও। শুক্রবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল মোদীকে চিঠি লিখে শপিং মল খোলা ও মেট্রো পরিষেবা শুরু করার অনুরোধ করেছেন। তিনি বলেন, ৩৩ শতাংশ দোকান সহ শপিং মল খোলা হোক। সেইমতো দোকানের সংখ্যা কমিয়ে মল খোলা হতে পারে। তবে কন্টেইনমেন্ট এলাকায় কিছু খোলা হবে না। সেখানে আগের নির্দেশিকায় হয়তো বজায় থাকবে।
সূত্রের খবর, আগামী ৩১ মে পর্যন্ত বাড়ানো হতে পারে চতুর্থ পর্যায়ের এই লকডাউন। এখন এই পর্যায়ে কী কী ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হয়, সেদিকেই নজর সবার।