
মোদীর অনুষ্ঠানের পরে টুইট করে কটাক্ষ করেন রাহুল। তিনি বলেন, “জয়েন্ট-নিট পরীক্ষার্থীরা চেয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী পরীক্ষা নিয়ে আলোচনা করবেন। তার বদলে প্রধানমন্ত্রী খেলনা নিয়ে চর্চা করলেন।” এই টুইটের সঙ্গে একটি হ্যাশট্যাগও তিনি দেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, # মনের নয় ছাত্র-ছাত্রীদের কথা।
JEE-NEET aspirants wanted the PM do ‘Pariksha Pe Charcha’ but the PM did ‘Khilone Pe Charcha’.#Mann_Ki_Nahi_Students_Ki_Baat
— Rahul Gandhi (@RahulGandhi) August 30, 2020
এদিন মন কি বাত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে খেলনা উৎপাদন বাড়াতে হবে। শিশুদের বিকাশের জন্য খেলনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই এবার খেলনা তৈরিতেও ভারতকে আত্মনির্ভর হতে হবে। তিনি বলেন, “বিশ্বের নিরিখে ভারতে খুবই কম খেলনা উৎপাদন হয়। গোটা বিশ্বে ৭ লাখ কোটি টাকার খেলনা উৎপাদন হয়। আর তাতে ভারতের অংশ খুবই কম। এতটা কম উৎপাদন ঠিক নয়। আমাদের এটা বাড়ানোর চেষ্টা করতে হবে।” এই প্রসঙ্গেই প্রধানমন্ত্রী বলেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরও শিশুদের জন্য খেলনার গুরুত্বের কথা বলেছেন।
প্রধানমন্ত্রী এদিন দেশের বিভিন্ন স্টার্ট আপ সংস্থাকেও খেলনা উৎপাদনের মাধ্যমে ‘ভোকাল ফর লোকাল’ হওয়ার ডাক দেন। একই সঙ্গে বলেন, “কম্পিউটার গেমও এখন খুব জনপ্রিয়। বাচ্চা থেকে বয়স্ক সকলেই খেলেন। কিন্তু এই সব খেলাগুলি পশ্চিমী ভাবনায় তৈরি। আমাদের ভারতীয় কম্পিউটার গেম বানাতে হবে। এক্ষেত্রেও আমাদের আত্মনির্ভর হয়ে উঠতে হবে।” এই সংক্রান্ত ভারতীয় অ্যাপ ‘Koo’ এবং ‘Chingari ইদানীং খুবই জনপ্রিয় হচ্ছে বলেও এদিন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর বক্তব্য, ভারতের মতো করে ভারতেই তৈরি করতে হবে খেলনা।
এর আগেও অবশ্য জয়েন্ট ও নিট নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে কটাক্ষ করেছেন রাহুল। শুক্রবার তিনি একটি ভিডিও বার্তা টুইট করে বলেন, কোনও ভাবেই যাতে এই জয়েন্ট ও নিট পরীক্ষার জন্য ছাত্র-ছাত্রীদের সংক্রমণের মুখে ঠেলে না দেওয়া হয়। কারণ তাঁরা দেশের ভবিষ্যৎ। তাই কোনও ভাবেই যেন তাঁদের ভবিষ্যৎ নিয়ে ছেলেখেলা না হয়। সেটা হলে এই ঘটনাকে সরকারের ব্যর্থতা হিসেবেই মনে করা হবে।
তার আগে টুইট করে কংগ্রেসের অন্তর্বর্তী সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী বলেন, জয়েন্ট ও নিট নিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের কথা সরকারের শোনা উচিত। তাঁরা দেশের ভবিষ্যৎ। তাই কোনও ভাবেই যাতে তাঁদের কথা উপেক্ষা না করা হয়, তার দাবি জানান তিনি।