
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ভারত মহাসাগরে চিনের আধিপত্য খর্ব করতে ভারত, আমেরিকা, জাপান ও অস্ট্রেলিয়া চার শক্তিধর রাষ্ট্র হাতে হাত মিলিয়ে চতুর্দেশীয় অক্ষ তথা কোয়াড তৈরি করেছে। এই কোয়াডের লক্ষ্যই হল ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের শান্তি ও সুস্থিতি ধরে রাখা। কোয়াড মহড়ার আগে ভারত মহাসাগরে দু’দিনের ‘পাসেক্স’ নৌমহড়া শুরু করেছে ভারত-আমেরিকা। এই মহড়ায় ভারতীয় নৌবাহিনীর সঙ্গে যোগ দিয়েছে বায়ুসেনাও।
মার্কিন রণতরী ইউএসএস থিওডোর রুজভেল্টের সঙ্গে ভারত মহাসাগরে মহড়া দিচ্ছে ভারতীয় রণতরী আইএনএস শিবালিক ও নজরদারি এয়ারক্রাফ্ট পি-৮১। মার্কিন থিওডোর রুজভেল্ট ক্যারিয়ার স্ট্রাইক গ্রুপের যুদ্ধজাহাজ। নতুন প্রজন্মের বিমানবাহী রণতরী। আইএনএস শিবালিক স্টিলথ ক্লাসের যুদ্ধজাহাজ। একে বলা হয় মাল্টিরোল ফ্রিগেট। বস্তুত, আইএনএস শিবালিক ভারতের তৈরি প্রথম স্টিলথ ওয়ারশিপ। একাধিক ইলেকট্রিন সেন্সর লাগানো ভারতের এই স্টিলথ ক্লাসের রণতরী নৌসেনার অন্যতম শক্তিশালী হাতিয়ার। নজরদারি বিমান পি-৮১ যোগ দিয়েছে এই মহড়ায়। উপকূল এলাকায় নজরদারি চালানো, শত্রুপক্ষের যুদ্ধজাহাজ ও সাবমেরিনের অবস্থান জানা ও প্রয়োজনে আঘাত হানার ক্ষেত্রে এই বিমান ভারতীয় নৌবাহিনীর অন্যতম বড় অস্ত্র। তাছাড়া বায়ুসেনার একাধিক এয়ারক্রাফ্টও শক্তি প্রদর্শন করেছে এই মহড়ায়।
In a #first, enhancing #Jointmanship, #IndianAirForce fighters were also included in the Exercise affording #IAF an opportunity to practice Air Interception / Air Defence with @USNavy close to Indian Coast (2/2).#NavalCooperation@IAF_MCC@USNavy pic.twitter.com/vi4CwbIoXz
— SpokespersonNavy (@indiannavy) March 28, 2021
পাসেক্স হল ভারত ও আমেরিকার মধ্যে রুটিন নৌমহড়া। গত বছর বঙ্গোপসাগরে ভারতীয় রণতরীর সঙ্গে পাসেক্স মহড়ায় অংশ নিয়েছিল মার্কিন রণতরী ইউএসএস নিমিটিজ় ও পরমাণু অস্ত্রবাহী রণতরী ইউএসএস রোনাল্ড রেগান। গাল ওয়ান সংঘর্ষ ও পূর্ব লাদাখে সীমান্ত উত্তেজনার টানটান পরিস্থিতিতে এই নৌমহড়াকে চিনের প্রতি কৌশলী বার্তা বলেই মনে করছেন কূটনীতিকরা।
একই সঙ্গে ভারতের লক্ষ্য ট্রপেক্স নৌসেনা মহড়া। নৌসেনার চিফ অ্যাডমিরাল অরুণ প্রকাশ বলছেন, চিন যেভাবে সমুদ্রপথে আগ্রাসন দেখাচ্ছে তাতে ভারতের শক্তি প্রদর্শন করা খুবই দরকার। ট্রপেক্স মহড়া হবে সেই চ্যালেঞ্জ। যুদ্ধজাহাজ ও সাবমেরিন নিয়ে মহড়া দেবে ভারতীয় নৌবাহিনী। ৬টি নিউক্লিয়ার সাবমেরিন হাতে এসে গেলে এই মহড়া আরও জোরদার হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। জলপথে নিউক্লিয়ার অ্যাটাক সাবমেরিন, যুদ্ধজাহাজ, আকাশপথে কমব্যাট ফাইটার এয়ারক্রাফ্ট উড়িয়ে ভারত দেখিয়ে দেবে যে কোনও জায়গাতেই তারা অপ্রতিরোধ্য। নৌসেনার ওয়েস্টার্ন কম্যান্ড ডিফেন্স অব গুজরাত ও ইস্টার্ন ন্যাভাল কম্যান্ড অপারেশনাল রেডিনেস এক্সারসাইজ এই মহড়ায় অংশ নেবে।