Latest News

করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও ভারতে গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হয়নি, দাবি আইসিএমআরের

দ্য ওয়াল ব্যুরো: গত কয়েক সপ্তাহ ধরে হু হু করে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। দেশের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে মহারাষ্ট্র ও দিল্লিতে। এই দুই জায়গায় কমিউনিটি ট্রান্সমিশন বা গোষ্ঠী সংক্রমণ দেখা দিয়েছে কিনা সে প্রশ্নও সামনে এসেছে। তবে এই প্রশ্নের জবাবে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ বা আইসিএমআরের তরফে সাফ জানানো হল, দেশে গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হয়নি।

বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সম্মেলনে একথা বলেন আইসিএমআরের ডিরেক্টর জেনারেল বলরাম ভার্গব। তিনি বলেন, “গত কয়েক দিন ধরে এই গোষ্ঠী সংক্রমণের বিষয়ে অনেক আলোচনা হচ্ছে। কিন্তু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে এর কোনও সংজ্ঞা দেওয়া হয়নি। তাই আমরা বলতে পারি আমাদের দেশে খুব বেশি হলে ১ শতাংশ এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। শহুরে এলাকায় হয়তো আর একটু বেশি হয়েছে। কন্টেইনমেন্ট জোনে আর একটু বেশি। তাই কখনই বলা যাবে না দেশে গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হয়েছে।”

গোষ্ঠী সংক্রমণ হল করোনা সংক্রমণের তৃতীয় ধাপ। যখন একটা বড় অংশের আক্রান্তের ক্ষেত্রে কোথা থেকে সংক্রমণ ছড়িয়েছে, অর্থাৎ সংক্রমণের উৎস খুঁজে পাওয়া যায় না তখন তাকে গোষ্ঠী সংক্রমণ বলে।

মহারাষ্ট্র ও দিল্লিতে ক্রমাগত সংক্রমণ বাড়ার পরে এই বিষয়ে আলোচনা শুরু হয়। দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন বলেন, “দিল্লিতে প্রায় ৫০ শতাংশ আক্রান্তের উৎস চিহ্নিত করা যাচ্ছে না। তাই মনে হচ্ছে এখানে গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হয়েছে। অবশ্য সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্র। এইমসের ডিরেক্টর রণদীপ গুলেরিয়া জানিয়েছেন দিল্লিতে গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হয়েছে। কিন্তু কেন্দ্র তা মানতে নারাজ। এটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তাই কেন্দ্র না বলা পর্যন্ত আমরা এই বিষয়ে কিছু বলতে পারি না। গোষ্ঠী সংক্রমণ হচ্ছে কিনা সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্র।”

মহারাষ্ট্রের মধ্যে সবথেকে বেশ সংক্রমণ ছড়িয়েছে মুম্বইয়ে। আর বাণিজ্য নগরীতে সংক্রমণ ছড়ানোর জন্য দায়ী ধারাভি। এশিয়ার সর্ববৃহৎ বস্তির বেশিরভাগ মানুষই কাজের জন্য বাকি এলাকার উপর নির্ভরশীল। ধারাভি ফিভার ক্লিনিকের ডক্টর দিলীপ শেট্টি জানিয়েছেন, “এখানকার বেশিরভাগ মানুষই বাইরে কাজ করেন। এখানে থাকার ক্ষেত্রে কোনও রকমের সামাজিক দূরত্ব মানা হয় না। কোনও আক্রান্ত উপসর্গহীন কিনা বোঝার উপায় নেই। তাই বলা যায় এই ধারাভিতে গোষ্ঠী সংক্রমণ ছড়িয়েছে। প্রথমে মুম্বইয়ের অন্য এলাকা থেকে ধারাভিতে সংক্রমণ ছড়িয়েছে। এখন ধারাভি থেকে অন্য অংশে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে।”

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে অবশ্য এই ধরনের কোনও দাবি মানা হয়নি। এক আধিকারিক জানিয়েছেন, “বর্তমানে অনেক জায়গায় আক্রান্তের সংখ্যা বেশি হচ্ছে। তাই অনেক সময় আক্রান্তের উৎস খুঁজে বের করতে সময় লাগে। তার মানে এই নয় যে আক্রান্তের উৎস নেই। তার মানে এই নয় যে গোষ্ঠী সংক্রমণ ছড়িয়েছে।”

You might also like