
বিহারের গোপালগঞ্জ এলাকায় গণ্ডক নদীর উপর তৈরি সাট্টারঘাট ব্রিজের একটা অংশ ভেঙে পড়েছে বুধবার। গত কয়েক দিন ধরে প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে বিহারে। ফলে নদীগুলির জলস্তর বাড়ছে। এই জলস্তর বাড়ার ফলেই ব্রিজ ভেঙে পড়েছে বলে খবর।
সূত্রের খবর, জলস্তর বেড়ে যাওয়ার ফলে রাস্তার সঙ্গে ব্রিজের সংযোগস্থলে থাকা কালভার্টটি ব্রিজের চাপ সহ্য করতে পারেনি। ফলে সেটি ভেঙে পড়ে। এর ফলে ব্রিজের একটা অংশ নিশ্চিহ্ন হয়ে পড়ে। এভাবে ব্রিজ ভেঙে পড়ায় উত্তর বিহারের একাধিক জেলা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
এই দুর্ঘটনার সঙ্গে সঙ্গেই বিরোধীরা সমালোচনা শুরু করেছেন নীতীশ কুমারের। রাষ্ট্রীয় জনতা দল নেতা তথা বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালপ্রসাদ যাদবের ছেলে তেজস্বী যাদব কটাক্ষ করে বলেন, “আট বছর ধরে ২৬৩ কোটি টাকা খরচ করে ব্রিজটি তৈরি হয়েছিল। কিন্তু ২৯ দিনের বেশি তা টিকল না। দুর্নীতির ভীষ্ম পিতামহ নীতীশজি এই বিষয়ে একটাও কথা বলেননি। বিহারের সব জায়গায় লুঠ চলছে।”
#WATCH: Portion of Sattarghat Bridge on Gandak River that was inaugurated by CM Nitish Kumar last month in Gopalganj collapsed yesterday, after water flow increased in the river due to heavy rainfall. #Bihar pic.twitter.com/cndClJHIAa
— ANI (@ANI) July 16, 2020
এদিকে গত ১৬ জুন আরও অনেকগুলি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন নীতীশ কুমার। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সেই প্রকল্পগুলি চালু করেন তিনি। তারও ছবি প্রকাশিত হয়। সেইসব প্রকল্প নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেছেন বিরোধীরা।
গোপালগঞ্জের সঙ্গে পূর্ব চম্পারণ জেলাকে যুক্ত করা গণ্ডক নদীর উপর তৈরি এই সাট্টারঘাট ব্রিজ ১.৪ কিলোমিটার লম্বা। ১৬ জুন মানুষের জন্য তা খুলে দেওয়া হয়। আট বছর আগে বিহার রাজ্য পুল নির্মাণ নিগম লিমিটেড এই ব্রিজ তৈরির কাজ শুরু করেছিল। অর্থাৎ সরকারি সংস্থা এই ব্রিজ তৈরি করেছে। তাই পুরো দায় তাদের উপরেই বর্তাচ্ছে।
বুধবার এই ব্রিজ ভেঙে পড়ার পরেই সরকারি আধিকারিক ও ইঞ্জিনিয়ারদের একটা দল সেখানে পৌঁছয়। কী ভাবে এই ব্রিজ ভাঙল তা খতিয়ে দেখছে তারা। বিরোধীদের এত সমালোচনা সত্ত্বেও নীতীশ কুমার বা তার সরকারের তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।