Latest News

২৬ কর্মী করোনা আক্রান্ত, বন্ধ হল আহমেদাবাদে দেশের অন্যতম বড় ফার্মা প্লান্ট

ঢোলকা ছাড়াও ভারতের অন্যান্য রাজ্য ও ইথিওপিয়াতে কারখানা রয়েছে ক্যাডিলা ফার্মাসিউটিক্যালসের। ওষুধ তৈরি করার ক্ষেত্রে যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কিছু উপাদান লাগে তা তৈরি হয় এই কারখানাগুলিতে। ভারতের বেসরকারি কারখানাগুলির মধ্যে অন্যতম বড় ছিল এই ঢোলকা ম্যানুফ্যাকচারিং ফেসিলিটি। কিন্তু সংক্রমণের ধাক্কায় তা বন্ধ করতে হল।

দ্য ওয়াল ব্যুরো: আহমেদাবাদে ভারতের অন্যতম বড় ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থার কারখানা বন্ধ করা হল। ইতিমধ্যেই ওই কারখানায় কাজ করা ২৬ কর্মীর শরীরে কোভিড পজিটিভ ধরা পড়েছে। তাই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ক্যাডিলা ফার্মাসিউটিক্যালস নামের ওই সংস্থা।

আহমেদাবাদের জেলা উন্নয়ন আধিকারিক অরুণ মহেশ বাবু জানিয়েছেন, “কয়েক দিন আগে ওই কারখানার পাঁচ কর্মীর শরীরে কোভিড সংক্রমণ ধরা পড়ে। তারপরে আমরা ক্যাডিলা ফার্মাসিউটিক্যালসের ৩০ কর্মীর লালারস নমুনা পরীক্ষার জন্য নিয়ে গিয়েছিলাম। তার মধ্যে ২১ জনের শরীরে সংক্রমণ ধরা পড়েছে। তারপরেই এই কারখানা বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় ওই কোম্পানি।”

জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার থেকেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এই কারখানা। সেখানে কর্মরত আরও ৯৫ কর্মীকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। জীবাণুনাশক দিয়ে ওই কারখানা পরিষ্কার করার কাজ শুরু হয়েছে।

ক্যাডিলা ফার্মাসিউটিক্যালসের তরফে একটা বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে, “সম্প্রতি আমাদের ঢোলকা ম্যানুফ্যাকচারিং ফেসিলিটিতে ২৬ জন কর্মীর দেহে করোনাভাইরাসের জীবাণু পাওয়া গিয়েছে। এই ঘটনার পরেই আমরা আপাতত কারখানা বন্ধ রাখছি। ওই এলাকায় যাতে আর সংক্রমণ না ছড়াতে পারে, তার জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে সব রকমের সাহায্য করতে আমরা তৈরি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পরে ফের কাজ শুরু হবে।”

আরও পড়ুন আগে টোকেন পরে মদ, লাইন ঠেকাতে নতুন অনলাইন ব্যবস্থা দিল্লিতে

ঢোলকা ছাড়াও ভারতের অন্যান্য রাজ্য ও ইথিওপিয়াতে কারখানা রয়েছে ক্যাডিলা ফার্মাসিউটিক্যালসের। ওষুধ তৈরি করার ক্ষেত্রে যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কিছু উপাদান লাগে তা তৈরি হয় এই কারখানাগুলিতে। ভারতের বেসরকারি কারখানাগুলির মধ্যে অন্যতম বড় ছিল এই ঢোলকা ম্যানুফ্যাকচারিং ফেসিলিটি। কিন্তু সংক্রমণের ধাক্কায় তা বন্ধ করতে হল।

বর্তমানে লকডাউনের তৃতীয় পর্যায় চলছে দেশে। এই সময় অনেক কারখানাকেই ছাড় দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। বেশ কিছু জায়গায় শুরু হয়েছে কাজ। কিন্তু ওষুধ তৈরির কারখানায় কাজ বন্ধ হয়নি। কিন্তু যখন অন্যান্য ক্ষেত্র ধীরে ধীরে কাজ শুরু করছে, সেই সময় এত বড় একটা ওষুধ তৈরির কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়া সত্যিই বড় ধাক্কা।

You might also like